আমানতকারীদের বিক্ষোভ অফিসে

মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ টাকা ফেরত দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলে এক অর্থলগ্নি সংস্থার দফতরে বিক্ষোভ দেখালেন আমানতকারীরা। সোমবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জের কলেজপাড়া এলাকায়। এক ঘণ্টা বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভকারীরা দফতরের শাটার নামিয়ে দিয়ে দফতর সংলগ্ন রায়গঞ্জ-জেলখানা মোড়ে রাজ্য সড়ক প্রায় ১৫ মিনিট অবরোধ করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৪ ০২:০০
Share:

মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ টাকা ফেরত দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলে এক অর্থলগ্নি সংস্থার দফতরে বিক্ষোভ দেখালেন আমানতকারীরা। সোমবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জের কলেজপাড়া এলাকায়। এক ঘণ্টা বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভকারীরা দফতরের শাটার নামিয়ে দিয়ে দফতর সংলগ্ন রায়গঞ্জ-জেলখানা মোড়ে রাজ্য সড়ক প্রায় ১৫ মিনিট অবরোধ করেন। পুলিশ ও পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রণজকুমার দাসের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ওই অর্থলগ্নি সংস্থার আধিকারিক অরুণ চন্দ বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের কারণে কিছু আমানতকারীর লগ্নির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও তাঁদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া যায়নি। ৩০ জুন থেকে তাঁদের টাকা দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়।” থানার আইসি গৌতম চক্রবর্তী জানান, অর্থলগ্নি সংস্থার নামে এখনও পর্যন্ত আমানতকারী আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ হাতে পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই অর্থলগ্নি সংস্থায় উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকার শতাধিক আমানতকারী পাঁচ বছরের ফিক্সড ডিপোজিট এবং থেকে পাঁচ বছরের মেয়াদে রেকারিং প্রকল্পে টাকা লগ্নি করেছেন। ফিক্সড ডিপোজিট প্রকল্পে আমানতকারীদের পাঁচ বছরে টাকা দ্বিগুণ ও রেকারিং প্রকল্পে নির্দিষ্ট সময়ের পর আমানতকারীদের চড়া সুদে টাকা ফেরত পাওয়ার কথা। এ ছাড়াও ওই অর্থলগ্নি সংস্থার হোটেল, শেয়ার-সহ নানা ব্যবসা রয়েছে। শেয়ারের ব্যবসায় নির্দিষ্ট সময়ে বেশি সুদে টাকা ফেরত পাওয়ার প্রকল্পে কিছু আমানতকারী টাকা লগ্নি করেন।

আন্দোলনকারীদের তরফে মানিক বর্মন বলেন, “ফিক্সড ডিপোজিটে ৫০ হাজার টাকা লগ্নি করেছি। গত বছরের অগস্ট মাসে লগ্নির পাঁচ বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। আমার বর্তমানে এক লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা। গত আট মাস ধরে সংস্থার কর্তারা আমাকে ঘোরাচ্ছেন।” নিশিকান্ত শীল নামে আর এক জন আমানতকারী জানান, রেকারিং প্রকল্পে ২৪ মাসের মেয়াদে প্রতি মাসে ২২০০ টাকা করে তিনি ওই অর্থলগ্নি সংস্থায় জমা করেছেন। সাত মাস আগে লগ্নির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে সুদসমেত ৭৭ হাজার টাকা পাওয়ার কথা। বারবার দফতরে ঘুরে টাকা পাচ্ছেন না তিনি।

Advertisement

অর্থলগ্নি সংস্থার পক্ষে এজেন্ট লুরুল ইসলাম বলেছেন, “শতাধিক আমানতকারীর নানা প্রকল্পে অর্থলগ্নির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও তাঁরা গত প্রায় এক বছর ধরে টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। এ দিন আমানতকারীদের সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সংস্থার দফতরে এসে পাওনা টাকা ফেরত না পাওয়ায় এই দিন আন্দোলন শুরু করেন বাসিন্দারা।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement