উত্তরবঙ্গের আমানত সুরক্ষা সমিতির তিনদিনের গণ অবস্থানের অনুমতি নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই বিজেপি’ নেতা, সাংসদের কর্মসূচিতে যোগ দিলেন। বুধবার দুপুরে অবস্থান মঞ্চে আসেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি রাহুল সিংহ এবং দার্জিলিঙের বিজেপির সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া।
এ ছাড়াও এদিন কর্মসূচিতে কলকাতা থেকে এসে যোগ দেন পিডিএস নেতা সমীর পুতুটুন্ডু এবং চিটফান্ড সাফারার্স ইউনিটি ফোরামে সভাপতি অসীম মুখোপাধ্যায়। সকলেই উত্তরবঙ্গের প্রতারিত আমানতকারীদের পক্ষে থাকার অঙ্গিকার করার সঙ্গে সঙ্গে অবস্থান অনুমতি নিয়ে রাজনৈতিক অভিসন্ধীর অভিযোগ তুলেছেন। ইতিমধ্যে গত সোমবারই অনুমতি ছাড়ার অভিযোগ করে পুলিশ সুরক্ষা সমিতির বিরুদ্ধে মামলাও করেছে।
কারও নাম না করলেও আমানত সুরক্ষা সমিতির আহ্বায়ক অলকেশ চক্রবর্তী’র অভিযোগ, “অবস্থানের প্রথম থেকে পুলিশ-প্রশাসনকে সামনে রেখে অনেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সফল করতে চেয়ছে। তাই আমাদের সভার আবেদন সমস্ত জায়গায় আগাম জমা দেওয়া থাকলেও অনুমতি না দিয়ে নানা প্রশ্ন তোলা হয়েছে।” তিনি জানান, গত মঙ্গলবার রাতেও থানায় ডেকে সভায় বিজেপি নেতা’রা কেন আসছেন তা জানতে চাওয়া হয়। এমনকি, রাহুল সিংহ বক্তব্য রাখার আগে দুই জায়গায় কেউ বা কারা মাইকের তারও খুলে দেওয়া হয়। আমাদের আন্দোলন এভাবে দমিয়ে রাখা যাবে না।
সভায় বিজেপি’র দুই নেতাও পুলিশ-প্রশাসনকে একাংশকে একহাত নেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুলবাবু বলেন, “পুলিশের একাংশকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা আর বেশিদিন চলবে না। মানুষকে গণ আন্দোলনকে বেশিদিন এভাবে ধমিয়ে রাখা যায় না।” আর বিজেপির সাংসদ বলেন, “আমি বিমানবন্দর থেকে নামার পরেই এর পুলিশ অফিসার আমাকে টেলিফোন করে সভার অনুমতি নেই বলে জানান। তার পরেই আমি সভায় এসেছি। এই মানুষেরা যেভাবে প্রতারিত, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন, সেখানে আমাকে আসতেই হবে।”
এদিন সুরক্ষা সমিতির পক্ষ থেকে রাহুলবাবুর কাছে সমস্ত অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে সিবিআই দ্রুত সিবিআই তদন্ত, মালিকদের গ্রেফতার এবং জাতীয় অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘোষণার দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।