দলীয় দফতরে শিবসেনার (ইউবিটি) নেতারা। নিজস্ব চিত্র।
“একনাথ শিন্দের ১১ বছরের ছেলে আর সাত বছরের মেয়ে যখন একসঙ্গে জলে ডুবে মারা গেল, উনি অবসাদে ডুবে গিয়েছিলেন। শিন্দে তখন ঠাণে পুরসভার কাউন্সিলর। অবসাদ থেকে বার করতে শিবসেনা ওঁকে বিধানসভা ভোটে নামানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সময় দলের নেতা রাজন বিচারে নিজের আসন শিন্দেকে ছেড়ে দিয়েছিলেন। আর সেই রাজন বিচারেকে এ বার লোকসভা নির্বাচনে হারাতে শিন্দে ও বিজেপি মিলে ৭০০ কোটি টাকা খরচ করেছে। প্রতিটি আবাসনে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। বিশ্বাসঘাতক!”
এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে থামেন প্রদীপ শিন্দে। উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার ঠাণের জেলা সভাপতি।
গেরুয়া রঙের দেওয়ালে মাঝখানে শিবাজির ছবি। দু’দিকে বাল ঠাকরে, উদ্ধব ঠাকরে, আদিত্য ঠাকরে ও আনন্দ দিঘের ছবি। টেবিলে বাঘের মূর্তি। চেয়ার বাঘছাল ছাপা কাপড়ে মোড়ানো। শিবাজির মূর্তিও রয়েছে। বাইরে ফাইবারের তৈরি মশাল, উদ্ধবের শিবসেনার নির্বাচনী প্রতীক। ঠাণে বিধানসভার প্রার্থী রাজন বিচারের ছবি-সহ ব্যানার। কয়েক জন বসে গুলতানি করছে।
সবই আছে। তবু কেমন যেন প্রাণ নেই উদ্ধবের শিবসেনার দফতরে!
প্রদীপ শিন্দে বলেন, “এই একটা দফতর একনাথ শিন্দে দখল করতে পারেনি। তালাওপল্লির আনন্দ আশ্রম দখল করে ওখানে দলের কেন্দ্রীয় দফতর বানিয়েছে। বিশ্বাসঘাতক!”
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্দে সম্পর্কে প্রতিটি বাক্যে এক বার করে ‘বিশ্বাসঘাতক’ শোনার পরে হাঁটতে হাঁটতে তালাওপল্লির ‘আনন্দ আশ্রম’। ঠাণের প্রয়াত শিবসেনা নেতা আনন্দ দিঘের বাড়ি। কাঠের তৈরি এই দোমহলা বাড়িতেই দিঘের দরবার বসত। একনাথ শিন্দের রাজনৈতিক গুরু আনন্দ দিঘে এতটাই দাপুটে নেতা ছিলেন যে নিজের নামের পাশে বাল ঠাকরের মতো শিবসেনা ‘প্রমুখ’ লিখতেন। পাশে ব্র্যাকেটে ঠাণে লেখা থাকত। বাল ঠাকরের জমানায় দলের আর কেউ এই সাহস দেখাতেন না। দিঘের মৃত্যুর দু’দশক পরেও আনন্দ আশ্রমে তাঁর চেয়ারে কেউ বসেন না। ছবি সাজানো থাকে।
নতুন দল তৈরির পরে শিন্দে এই আনন্দ আশ্রম-কেই দলের কেন্দ্রীয় দফতর করেছেন। শাসক জোট মহায্যুতি-র নেতারা ঘন ঘন যাতায়াত করছেন। হন্তদন্ত হয়ে বৈঠক সেরে বেরনোর সময়ে ঠাণে জেলার