আগের বোর্ডের টাকায় রাস্তার কাজ বালুরঘাটে

বাম আমলে পড়ে থাকা কোটি টাকা। নিজস্ব ভাটায় তৈরি ১৮ লক্ষ ইট। এই দু’য়ের ভরসায় নতুন পাকা রাস্তা তৈরি এবং বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৪ ০৯:১১
Share:

বাম আমলে পড়ে থাকা কোটি টাকা। নিজস্ব ভাটায় তৈরি ১৮ লক্ষ ইট। এই দু’য়ের ভরসায় নতুন পাকা রাস্তা তৈরি এবং বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ।

Advertisement

৪টি নতুন রাস্তা এবং ১৪টি পুরনো রাস্তা মেরামতিতে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। জেলা পরিষদের সভাধিপতি ললিতা টিগ্গা বলেন, জেলা জুড়ে পাকা রাস্তাগুলি মেরামতি হবে। নতুন পাকা রাস্তা তৈরিও হবে। এক সপ্তাহ কাজ শুরু হয়েছে। মার্চের মধ্যে সমস্ত রাস্তার কাজ শেষ করা হবে। রাস্তা উন্নয়নে সবটাই বিগত বাম বোর্ডের আমলে পড়ে থাকা ওই ১৫ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে।”

মাস পাঁচ আগে বামেদের থেকে জেলা পরিষদে ক্ষমতায় তৃণমূল। কিন্তু এ যাবৎ কেন্দ্রের কাছ থেকে উন্নয়ন খাতে বিআরজিএফ খাতে ৫০ লক্ষ টাকা বাদে অন্য কোনও প্রকল্পে টাকা মেলেনি বলে সভাধিপতি জানান। পুরাতন বোর্ডের আমলে পড়ে থাকা টাকায় রাস্তা উন্নতির কাজে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জেলা পরিষদের রাস্তাগুলি ভেঙে, পিচ পাথর উঠে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শুভাশিস পাল বলেন, “বাম আমলে ২০০০ সাল থেকে ২০১৩ সাল অবধি ত্রয়োদশ এবং তৃতীয় অর্থ কমিশন, পিছিয়ে পড়া এলাকার উন্নয়ন তহবিল খাতে ১৫ কোটি টাকা জেলা পরিষদের তহবিলে পড়েছিল। ওই টাকায় রাস্তা সংস্কারে জোর দেওয়া হয়। বংশীহারী এলাকায়ত জেলা পরিষদের নিজস্ব ইটভাটায় ১৮ লক্ষ ইট সেখানে তৈরি হয়ে রয়েছে। প্রথম শ্রেণির ওই ইট ব্যবহারের ফলে অন্তত প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা সাশ্রয় হবে।” জেলাপরিষদের বর্তমান বিরোধী নেতা সিপিএমের মোফাজ্জল হোসেন বলেছেন, “গোটা একটি আর্থিক বছর শেষ করার আগেই জেলা পরিষদ থেকে বামবোর্ড বিদায় নেয়। ফলে টাকা তো পড়ে থাকবেই। প্রকল্প রূপায়ণ নিয়ে ভেটিং সহ টেকনিক্যাল সমস্যায় প্রকল্পের টাকা পড়েছিল। তবে তা ১৫ কোটি টাকা কি না, বলতে পারব না।” জেলা পরিষদ অতিরিক্ত কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক অগাস্টিন লেপচা জানান, কোনও প্রকল্পে বরাদ্দ টাকার কমে কাজ হলে বাকিটা জমা পড়ে জেলা পরিষদের তহবিলেই। তিনি বলেন, “চলতি আর্থিক বছরের শেষে জেলা পরিষদে নতুন বোর্ড ক্ষমতায় এলেও উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ মেলেনি বললেই চলে। ওই টাকা দিয়ে কাজ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement