ভক্তিনগর থানা এলাকার আইনি কাজকর্ম জলপাইগুড়ি আদালতে হওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বুধবার। ওই ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি আদালতে ওই থানার কাজকর্ম শুরুর দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে নামার হুমকি দিলেন বৃহত্তর শিলিগুড়ি নাগরিক মঞ্চের সদস্যরা।
এদিন শিলিগুড়িতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে এ খবর জানান তাঁরা। আগামী রবিবার থেকে শিলিগুড়ি পুরসভার যেসব এলাকা ভক্তিনগর থানার অধীনে রয়েছে, সেই সমস্ত এলাকাতে গিয়ে পথসভা করে প্রচারে নামবেন বলে জানান তাঁরা। এর সঙ্গে সই সংগ্রহ করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলে দাবি করা হয় মঞ্চের পক্ষ থেকে। একই দাবিতে এবং শিলিগুড়িকে জেলা হিসেবে ঘোষণা এবং শিলিগুড়িতে মেট্রোপলিটন আদালত স্থাপন করার দাবিও থাকবে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে এই দাবিগুলিতে একটি মিছিলেরও ডাক দিয়েছেন। তাতে শহরের সকলকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সংগঠনের সম্পাদক রতন বণিক বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় ভক্তিনগর থানা এলাকার বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ। সামান্য কাজের জন্য জলপাইগুড়ি শহরে ছুটতে হয়। এই সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি চাই। যতদূর যেতে হয়, যাব।” সুনীলবাবু বলেন, “আমরা ভক্তিনগর থানার এলাকাবাসীরা আশাবাদী এই ঘোষণা সাময়িক। শিলিগুড়িতেই ভবিষ্যতে মেট্রোপলিটন আদালত তৈরি হবে।” এ বিষয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “এ ব্যপারে যা বলার মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন। আমি আলাদা করে কিছু বলতে পারব না।”
মঞ্চের যুক্তি, তাহলে এই সরকারের মন্ত্রীরাই একাধিকবার শিলিগুড়ি আদালত চত্বর ঘুরে দেখে গিয়েছেন। এসেছিলেন তত্কালীন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এখন হঠাত্ মত বদলাল কেন। এর উত্তর খুঁজতে পঁচিশ হাজার সই সংগ্রহ করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।