বৈঠকে জেলা পরিষদের সদস্যেরা। নিজস্ব চিত্র।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের ছ’টি স্থায়ী সমিতির ন’টি পদ দু’বছর ধরে শূন্য থাকার পর বুধবার সে গুলি পূরণ হল। এ দিনের বৈঠককে ঘিরে টানটান উত্তেজনা ছিল জেলা পরিষদে। মোতায়েন ছিল বালুরঘাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। কিন্তু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই মেটে ভোট-পর্ব।
দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা ১৮ জন। নির্বাচনে সব আসনে জয় লাভ করে তৃণমূল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর বিপ্লব মিত্রের হাত ধরে সভাধিপতি-সহ ১০ জন জেলা পরিষদ সদস্য বিজেপি-তে যোগ দেন। তৎকালীন তৃণমূল জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ ওই ১০ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। পরবর্তীতে বিশ্বনাথ পাহান বাদে ন’জনই তৃণমূলে ফিরে আসেন। এদিকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিপ্লপও তৃণমূলে ফিরে আসেন এবং জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান হন। এ দিন বিপ্লব মিত্র অনুগতদের পুনরায় স্থায়ী কমিটির সদস্য করা হয়।
বুধবারের বৈঠক ঘিরে জেলা সভাপতি গৌতম দাস ও বিপ্লব মিত্র অনুগামীদের বিরোধের সম্ভাবনা থাকলেও, এই দিনের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে স্থায়ী কমিটি গুলির সদস্য নির্বাচন হয়। এদিনের বৈঠকে জেলা পরিষদের ৩৩ জন প্রতিনিধর মধ্যে ২৬ জন উপস্থিত ছিলেন।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিক গোবিন্দ দত্ত জানান, জেলা পরিষদের পূর্ত, কৃষি, মৎস্য, বন, শিক্ষা, ক্ষুদ্র কুটির স্থায়ী সমিতি গুলিতে দীর্ঘদিন নয়টি পদ শূন্য ছিল। এ দিনের বৈঠকে তা পূরণ করা হয়েছে। জেলা চেয়ারম্যান বিপ্লব মিত্র এবং জেলা সভাপতি গৌতম দাস দুজনেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি অস্বীকার করেন। দুজনেই জানান, একই পরিবারে থাকতে গেলে ছোটখাটো মতবিরোধ হতেই পারে, এর প্রভাব দলে পড়েনি।