নিহত মহম্মদ রাজ্জাক। নিজস্ব চিত্র
দুষ্কৃতীদের গুলিতে এক ভ্যানচালকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে ইসলামপুরে। শুক্রবার রাতে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধারের পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহতের নাম মহম্মদ রাজ্জাক (৩০)। বাড়ি ইসলামপুর শহরে সুকান্তপল্লির মুসুর আলি বস্তিতে।
শুক্রবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দূরে তিস্তার একটি ক্যানালের উপর রক্তাক্ত অবস্থায় থাকে পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের লোকেরা খবর দিলে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। খবর পেয়ে শনিবার এলাকায় পৌঁছন ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল, ইসলামপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক মণ্ডল, এসডিপিও সোমনাথ ঝা-সহ পুলিশের আধিকারিকেরা। ইসলামপুর পুলিশ জেলার এসপি সচিন মক্কার বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ ব্যাপার। ওই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ঘটনার কিনারা করা সম্ভব হবে।
নিহতের পরিবার জানিয়েছে, ক্যানালের ধারে বাড়িতে স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানকে নিয়ে থাকতেন রাজ্জাক। স্ত্রী মিনু বেগম বলেন, ‘‘রাত ৯টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোয় রাজ্জাক। আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। রাত ১১টা ওকে ফোন করছিলাম খেতে আসার জন্য। ফোন না পেয়ে সবাইকে জানাই।’’ এরপর এলাকার লোকজন ও রাজ্জাকের দাদারা তাঁকে খুঁজতে খুঁজতে ক্যানালের ধারে পৌঁছন। সেখানে রাজ্জাকের দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, তিস্তা ক্যানালে মাছ ধরতে জাল পেতেছিল রাজ্জাক। সেখানেই ছোট সেতুর উপর রজ্জাকের রক্তাক্ত দেহ পড়েছিল। তাঁর কানের কাছে গুলির চিহ্ন মিলেছে। পুলিশের অনুমান, খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, তিন রাউন্ড গুলি করা হয়েছে রাজ্জাককে। একটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও বাকি দু’টি গুলি তাঁর কানের পিছন দিয়ে মাথায় লেগেছে। সেই লক্ষ্যভ্রষ্ট গুলিও উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি মদের বোতল তিনটি মদের গ্লাস উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার আগে তাকে মদ খাওয়ানো হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ।
অকুস্থল: ভ্যানচালক মহম্মদ রাজ্জাকের দেহ উদ্ধারের পর শনিবার সকালে তিস্তা ক্যানাল পাড়ে পুরপ্রধান কানাইয়ালাল আগরওয়াল। তিনি এ দিন নিহতের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন। নিজস্ব চিত্র
এই ঘটনার পিছনে ত্রিকোণ সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।