—নিজস্ব চিত্র।
বেহাল রাস্তায় পড়ে গিয়ে জমা জলে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। শনিবার রাতে রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জে এই ঘটনার পর রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে সরব হলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। রবিবার যুবকের দেহ আটকে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে বৃষ্টির সময় শম্ভু ঘোষ (৩২) নামে সুভাষগঞ্জের স্থানীয় এক যুবক ওই রাস্তায় মুখ থুবড়ে পড়ে গিয়ে অচৈতন্য হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রায়গঞ্জের ১০ নম্বর মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সুভাষগঞ্জ পালপাড়া গ্রামের একাধিক রাস্তা সংস্কারের অভাবে কঙ্কালসার অবস্থা৷ বার বার প্রশাসনকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় বৃষ্টির সময় কাজ সেরে ফেরার পথে সাইকেল থেকে রাস্তায় পড়ে যান শম্ভু। রাস্তার হাঁটুজমা জলে ঘণ্টা দুয়েক ধরে পড়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শম্ভুর মৃত্যুর পরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তা দ্রুত মেরামতির দাবিতে শম্ভুর দেহ আটকে রেখে রায়গঞ্জ-সুভাষগঞ্জ পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। অভিজিৎ রায় নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিল আমাদের পাড়ার শম্ভু। তাঁর মৃত্যুর পর শম্ভুর পরিবারের, ছেলেমেয়ের কী হবে? কে তার দায়িত্ব নেবে? বছরের পর বছর ধরে পালপাড়ায় রাস্তায় বর্ষায় বেহাল দশা হয়। সে জন্য আমরা প্রতিবাদ করছি। কবে রাস্তা সারাই হবে? আমরা এর সমাধান চাইছি।’’
অবরোধকারীদের হঠাতে পুলিশকর্তারা এসে দীর্ঘ সময় ধরে তাঁদের বুঝিয়েসুজিয়ে ছুটির দিনের দোহাই দেন। সোমবার রায়গঞ্জের বিডিও-র সঙ্গে এ সমস্যা নিয়ে বৈঠক করানোর আশ্বাস পেয়ে রবিবার বিকাল ৪টে নাগাদ অবরোধ ওঠে। রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ মৃতদেহ শেষকৃত্য করতে নিয়ে যান বিক্ষোভকারীরা। রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি মানষ ঘোষ বলেন, ‘‘অন্তত দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনা। আমরা মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। জলনিকাশি ববস্থ্যার সমস্যা থাকলে দ্রুত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’’ অন্য দিকে, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বেলি পাল বলেন, ‘‘শনিবার মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে৷ রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। এ নিয়ে প্রধানকে আগেও বলেছি। ফের জানাব। আশা করি, রাস্তা মেরামত করা হবে।’’