—নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্রর অনুষ্ঠান মঞ্চ ভস্মীভূত হওয়ার পিছনে দলের একাংশের দিকেই আঙুল তুললেন সোনারপুরের তৃণমূল নেতা শিশির ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের পতাকার তলায় দাঁড়িয়ে গুন্ডামি করতে চাইছে, দলের এমন একাংশই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। শাসক-বিরোধীর চাপানউতরের মাঝেই শিশিরের এই অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দলের অন্দরে। বিজেপি-র দাবি, এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে।
রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ সোনারপুরের ব্লু স্কাই মাঠে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল লাভলির। সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক লাভলির উদ্যোগে স্থানীয় শিশুদের পুষ্টিকর খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে শনিবার গভীর রাতে অনুষ্ঠানের মঞ্চে আগুন লেগে যায়। এতে অনুষ্ঠান মঞ্চের প্যান্ডেলের বাঁশ, চাঁদোয়ার কাপড়ের অনেকাংশ ভস্মীভূত হয়ে যায়। বিষয়টি নজরে আসার পর টহলদারি ভ্যানের পুলিশকর্মীরাই আগুন নেভান। তবে এই ঘটনার পর শাসকদলের দাবি ছিল, রাতের অন্ধকারে বিজেপি-র লোকজন মঞ্চে আগুন ধরিয়েছে। এ অভিযোগ অস্বীকার করে একে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব জের বলে আখ্যা দেয় বিজেপি। রবিবার কার্যত বিজেপি-র সেই তত্ত্বের পক্ষেই ইঙ্গিত দিয়েছেন শিশির। তিনি বলেন, ‘‘দলের কিছু মানুষ তৃণমূলের বদনাম করতে এ সব কাজ করছে। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। দলের উচ্চ নেতৃত্বকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশা করি, এ সব অসাধুদের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দল।’’ তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের মধ্যে থেকেই বেশ কয়েক জন অসাধু ব্যক্তি দলের নামে বদনাম রটাতে চাইছিলেন। তাঁরা অশান্তির পরিবেশ তৈরিরও চেষ্টা চালাচ্ছেন। দলে থেকেও দলবিরোধী কাজে লিপ্ত রয়েছেন তাঁরা৷
ঘটনাচক্রে, গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকেও প্রায় একই দাবি করা হচ্ছিল। বিজেপি-র সাংগঠনিক জেলা পশ্চিম ভাগের সভাপতি সুনীপ দাস বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছিল। সম্প্রতি সে ছবি প্রকাশ্যে চলে আসে। সেই দ্বন্দ্বের জেরে তৃণমূল বিধায়কের অনুষ্ঠানের আগে মঞ্চ জ্বালিয়ে দেন তৃণমূল কর্মীরাই।’’