Maldah

বিয়ে করতে বলায় গা ঢাকা দিয়েছেন প্রেমিক! ৫ দিন ধর্না দিয়ে প্রেমিকের পরিবারের হাতে মার খেলেন তরুণী

যুগল একই পাড়ার বাসিন্দা। দীর্ঘ দিন ধরে তাঁদের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি তরুণীর। কিন্তু বিয়ে করার জন্য চাপ দিতেই বেঁকে বসেছে প্রেমিক। অগত্যা তাঁর বাড়ির সামনে ঠায় বসে প্রেমিকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মানিকচক (মালদহ) শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২২ ১১:২৬
Share:

বিয়ে করেই অনশন ভাঙবেন। বললেন তরুণী। —নিজস্ব চিত্র।

শারীরিক সম্পর্কের পর আর বিয়ে করতে চাইছেন না প্রেমিক। অভিযোগ, বিয়ে করার জন্য জোর করায় গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। এই অভিযোগে তাঁর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন তরুণী। গত ৫ দিন তিনি প্রেমিকের বাড়ির সামনে বসে রয়েছেন তিনি। প্রশাসন থেকে প্রতিবেশী, বুঝিয়েও তাঁকে সেখান থেকে নড়াতে পারেননি কেউ। প্রেমিক ফিরে এসে তাঁকে বিয়ে না করলে সেখানেই বসে থাকবেন বলে জানান তিনি। এমনকি, জোরাজুরি করে তুলতে গেলে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। মালদহের মানিকচক থানার কামালপুর গ্রামের ঘটনা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, যুবকের বয়স চব্বিশ এবং ওই তরুণীর বয়স উনিশ বছর। তাঁদের বাড়ি একই পাড়ায়। গত ৩ বছর ধরে সম্পর্কে রয়েছেন তাঁরা। এক সময় দুই বাড়ি থেকে বিয়েও ঠিক হয়েছিল। কিন্তু কিছু দিন আগে বিয়ে করতে বেঁকে বসেন প্রেমিক। তরুণীর অভিযোগ, শারীরিক ঘনিষ্ঠতার পরই বিয়ে করতে অস্বীকার করেন প্রেমিক।

৫ দিন ধরে প্রেমিকের বাড়ির সামনে এক জন তরুণী বসে আছেন। এই দৃশ্য দেখতে ভিড় করছেন এলাকাবাসী। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। কিন্তু তাদেরও তরুণী সাফ জানিয়ে দেন, প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ের পরই ধর্না থেকে উঠবেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সম্পর্ক ঠিকই চলছিল। বাড়ির চাপে আমার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে প্রেমিক। আমি পাঁচ দিন ধরে অনশনে আছি। ফোনে অনেক চেষ্টা করেও ওর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। আমি চাই প্রতিশ্রুতি মতো আমাকে ও বিয়ে করুক। না হলে ওর বাড়ির সামনে আত্মহত্যা করব।’’ তাঁর এ-ও অভিযোগ, প্রেমিকের বাড়ির লোক তাঁর গায়েও হাত তুলেছেন।

Advertisement

যুবকের মায়ের দাবি, ‘‘আমরা কিছুই জানি না। আমার ছেলে বাড়ি নেই। আমার স্বামী বর্তমানে অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য বাইরে আছেন। আমার ছেলে যদি বিয়ে করতে চায়, বিয়ে করবে। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আমার ছেলে নেবে।’’

এ নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য উত্তম কর্মকার বলেন, ‘‘ঘটনার খবর পেয়ে আমি সেখানে যাই। ছেলেটির বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলি। যে হেতু যুবক বাড়ির বাইরে, আর তাঁকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না, তাই আমরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। আমি চাই, এ ব্যাপারে পুলিশ হস্তক্ষেপ করুক।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement