Teesta River

তিস্তায় হলুদ সঙ্কেত, করলাও ভর্তি

বৃষ্টি আরও বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। নবান্ন থেকেও সতর্ক করা হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২০ ০৬:০৪
Share:

আতঙ্ক: জল বাড়ছে তিস্তার নিচু এলাকায়। ছবি: সন্দীপ পাল

বৃষ্টিপাতে রেকর্ডের মুখে জলপাইগুড়ি। গত বছরের নিরিখে এখনও পর্যন্ত জলপাইগুড়িতে ৭৮ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। সেচ দফতরের তথ্য অনুযায়ী গত বছরের ২৫ জুন পর্যন্ত জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হয়েছিল ৬৫১ মিলিমিটার। এ বছরে এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১১৬৪ মিলিমিটার। সাম্প্রতিক অতীতে এত বেশি বৃষ্টিপাতের নজির নেই বলে দাবি সেচ কর্তাদের। বৃষ্টির জেরে ফুলে ফেঁপে উঠেছে দুই নদী। তিস্তায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। করলা নদীর জলও বেড়ে শহরের বিভিন্ন অংশে ঢুকতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিনভর নাগাড়ে বৃষ্টি হয়েছে জলপাইগুড়িতে। নতুন করে পবিত্র পাড়া, নিউটাউন পাড়া, আদরপাড়ার কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। মাসকলাইবাড়ির কিছু এলাকায় করলা নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে।

Advertisement

বৃষ্টি আরও বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। নবান্ন থেকেও সতর্ক করা হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনকে। এ বছরই নতুন করে তিস্তার ডান দিকে জল আসতে শুরু করেছে। প্রথমে সরু ধারার মতো বইলেও এখন জল বাড়ছে। তাই জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া বাঁধগুলির স্বাস্থ্য কেমন রয়েছে, তা-ও সমীক্ষা করছে সেচ দফতর। জেলা প্রশাসন সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শহর লাগোয়া বাঁধ রক্ষা করতে বালির বস্তা, বোল্ডার তৈরি রাখা হয়েছে। নদীতে জল বাড়লে বেশ কিছু গ্রামে উদ্ধারকাজ চালাতে হবে। সিভিল ডিফেন্সের বাহিনীও তাই তৈরি। বিএসএফের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও নিয়মিত পরিস্থিতি জানানো হচ্ছে।

গত কয়েক দিন পাহাড়ে টানা বৃষ্টি হয়েছে। তাই তিস্তা-করলা দুই নদীতেই জল বাড়তে শুরু করেছে বলে সেচ দফতরের খবর। জলপাইগুড়ি শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া করলা নদী এখন কানায় কানায় ভরা। শহরের বিভিন্ন খাল, নর্দমা দিয়ে জল বেরিয়ে করলা নদীতে পড়ে। নদী ভর্তি থাকায় বৃষ্টির জমা জল ফের ঘুরপথে শহরে ঢুকছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement