প্রতীকী ছবি।
এ বার গ্রেটার নেতা অনন্ত রায়কে (মহারাজ) ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দিল কেন্দ্র সরকার। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ওই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।
কিছুদিন ধরে রাজ্য সরকারের এক প্রাক্তন মন্ত্রী এবং এক বিধায়কের সঙ্গে বার কয়েক তাঁর বৈঠকের কথা প্রকাশ্যে আসে। সেই সঙ্গেই রাজ্য সরকারের তরফেও ওই গ্রেটার নেতাকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়। পুলিশের তিনজন নিরাপত্তা রক্ষী তিনি পান। এ বার কেন্দ্রীয় সরকারের নিরাপত্তা পাওয়ার পরে রাজনৈতিক মহলে তা নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। একপক্ষ দাবি করছে, অনন্ত রায় যে বিজেপির সঙ্গেই রয়েছেন তা এর থেকে আরও স্পষ্ট হয়ে গেল। আরেক পক্ষের অবশ্য দাবি, এখনও কোনও কিছুই স্পষ্ট নয়। মহারাজ বলেন, “আমি রাজনীতি নিয়ে আগ্রহী নই। সবার সঙ্গেই ভাল সম্পর্ক রয়েছে।”
রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের নেতারাও তা নিয়ে এই মুহূর্তেই কিছু বলতে চাইছেন না। রাজ্য সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দিন কয়েক আগে অনন্ত রায়ের
শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “যে কেউ যে কোনও নিরাপত্তা নিতেই পারেন। আর উনি রাজ্য সরকারের নিরাপত্তাও পান। তা নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “ওই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তাই তা নিয়ে কিছু বলতে চাই না।”
গত কয়েক বছরে লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে বার বারেই বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গেই দেখা যায় অনন্ত রায়কে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাতেও তাঁকে যেমন দেখা গিয়েছিল, তেমনই স্বরাষ্ট্রমন্তী অমিত শাহের সভাতেও ছিলেন অনন্ত। গত বিধানসভা ভোটের আগে অসমের ধুবুরিতে অনন্ত রায়ের বাড়িতেও গিয়েছিলে অমিত শাহ। কিন্তু ভোটের পরে রাজ্যের শাসক দলের নেতাদেরও দেখা যায় অনন্তের সঙ্গে।
এক সময়ে শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে অনন্ত রায়ের সম্পর্ক ভাল ছিল। কোচবিহারের বরগিলায় ওই গ্রেটার নেতার একটি বাড়ি রয়েছে। প্রাসাদপম ওই বাড়ি নিয়ে অনেক অভিযোগ ওঠে। ওই বাড়ির নিরাপত্তায় ‘নারায়ণী সেনা’না দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়। পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, ‘নারায়ণী সেনা’, চকচকা শিল্পতালুকের জমি দখল-সহ বেশ কয়েকটি মামলা হয় ওই গ্রেটার নেতার বিরুদ্ধে। সে সময়ে তিনি বহুদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন। তাঁর খোঁজে পুলিশ তল্লাশিও চালায়। পরে তিনি ফিরে আসেন। সেই সময়ে থাকে শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে তাঁর ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়েছে বলে গুঞ্জন ছড়ায়। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা অবশ্য বলেন, “অনন্ত মহারাজ আমাদের সঙ্গে ছিলেন। আমাদের সঙ্গেই আছেন।”