ডুয়ার্সে হাতি পুজো। নিজস্ব চিত্র।
বনকর্মীদের পাশাপাশি বিশ্বকর্মার বাহনের পুজোয় শামিল হলেন বনবস্তির বাসিন্দা পর্যটকেরাও। শনিবার গোরুমারা জাতীয় উদ্যানের ২৫টি কুনকি হাতিকে পুজো করলেন তাঁরা।
শনিবার বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ডুয়ার্সের গরুমারা জাতীয় উদ্যান, ধুপঝোরা, মেদলা ক্যাম্প, টন্ডু ক্যাম্পের হাতিদের পুজো করা হয়। বনকর্মী ও বনবস্তির বাসিন্দারা প্রার্থনা করলেন, হাতির উপদ্রব যেন কমে যায় ডুয়ার্সে। হাতি-মানুষের সঙ্ঘাত থেকে যেন রক্ষা পায় গ্রাম ও ফসল।
গরুমারার পাশাপাশি জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে থাকা ৩৯টি কুনকি হাতিকেও শনিবার পুজো দেওয়া হয়। শনিবার মেটেলি ব্লকের ধুপঝোরা গাছবাড়িতে বিশ্বকর্মার বাহনকে পুজো দেওয়া হয়। হাতি পুজো দেখতে পর্যটকদের ঢল নামে। বনকর্মী এবং গ্রামবাসীদের সঙ্গে অনেক পর্যটকও পুজোতে অংশ নেন। তাঁরা সকাল থেকে উপোস করেন পুজো শেষ না হওয়া পর্যন্ত।
গরুমারা জাতীয় উদ্যানের ধুপঝোরা তে কুনকি হাতি (পোষ্য হাতি ) আমনা , মতিরানি, চম্পা, ফাল্গুনি, রাজা, বর্ষণ, যুবরাজ নামে হাতিদের পুজো উপলক্ষে মূর্তি নদীতে ঘষেমেজে স্নান করানো হয়। এর পর তাদের রং এবং খড়িমাটি দিয়ে সাজানো হয়। প্রতি হাতির নাম তাদের গায়ে লিখে দেওয়া হয়।
এর পর হাতিদের পুজো মণ্ডপের সামনে এনে শাঁখ বাজিয়ে, উলুধ্বনি দেওয়া হয়। পুরোহিত মেনে মন্ত্রোচ্চারণ করে পুজো করেন। মহিলারা অঞ্জলিও দেন। পুজো শেষে গ্রামবাসী এবং হাতিদের পাশাপাশি পর্যটকদের জন্যেও ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা।
এক পর্যটক বলেন, ‘‘এই ভাবে জীবিত হাতিকে পুজো একেবারে ব্যতিক্রমী। দারুণ লাগল পুজোতে অংশ নিয়ে।’’ বন দফতরের দার্জিলিং ডিভিশনের রেঞ্জার রাজকুমার লায়েক বলেন, ‘‘আমরা প্রতি বছর এই দিনটিতে আমাদের পোষা হাতিদের সাজিয়ে পুজো করে থাকি। কারণ বিশ্বকর্মার বাহন হিসাবেই পূজিত হয় হাতি। জলপাইগুড়ি ডিভিশনের গরুমারা জাতীয় উদ্যানের অধীনে ১৯টি হাতিকে পুজো দেওয়া হয়। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পর্যটকরাও এতে অংশগ্রহণ করেন।