—ফাইল চিত্র
কেন্দ্র সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে চা বাগানে আন্দোলনে নামল জলপাইগুড়ি আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত তরাই-ডুয়ার্স প্ল্যান্টেশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। সদর ব্লকের করলাভ্যালি, জয়পুর, ভাণ্ডিগুড়ি, ডেঙ্গুয়াঝাড় এবং আরও কয়েকটি বাগানের মূল গেটে সোমবার শ্রমিকদের নিয়ে আন্দোলনে নামেন ইউনিয়নের নেতারা। দ্রুত শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি ও পাওনার দাবি তোলা হয়।
অভিযোগ, শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রভিডেন্ট ফান্ড হাতে পাওয়ার আগে আধার কার্ড অনলাইনে সংযুক্তির ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছেন শ্রমিকেরা। এর জেরে নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা হাতে পাচ্ছেন না শ্রমিকেরা বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে, মজুরি বৃদ্ধি ও বন্ধ চা বাগান খোলার দাবি তোলা হয়েছে। ইউনিয়নের দাবি, বাগানের শ্রমিকদের বেতন পরিকাঠামো বৃদ্ধির কোনও উদ্যোগ নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। আধার কার্ড নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন একাধিক শ্রমিক।
এছাড়া, বাগানের শ্রমিকদের চাকরির মেয়াদ ৫৮ বছর থেকে ৬০ বছর করার দাবিও তোলা হয়। অতিরিক্ত চা পাতা তোলার ক্ষেত্রে যে হাজিরা দেওয়া হয় সেই টাকা বাড়ানো দাবি তোলা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের সব বাগানে শ্রমিকেরা বারবার অভিযোগ করে বাগানের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত করা হয়নি এখনও। বাগানের হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নত করে চিকিৎসক, নার্স ও রোগী নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার দাবি তোলা হয় এ দিন। শিক্ষার পরিকাঠামো উন্নত করারও দাবি তোলা হয়েছে৷ চা বাগানের শ্রমিক মহেশ মুন্ডা বলেন, ‘‘বাগানে সারাবছর কাজ করি। কিন্তু আমাদের পাপ্য মজুরি পাই না। এই দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলছে।’’ এ দিন আন্দোলনে নেমেছিলেন বলে দাবি ইউনিয়নের নেতাদের।
এদিকে, আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত তরাই-ডুয়ার্স প্ল্যান্টেশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের জেলা কার্যকরী সভাপতি স্বপন সরকার বলেন, ‘‘শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি থেকে কেন্দ্রীয় সরকার বঞ্চিত করছে। বারবার প্রতিবাদ আন্দোলন করেও কাজ হয়নি। এই কারণে প্রত্যেক চা বাগানে গেটে গেটে আন্দোলন চলছে।’’ এদিকে, এক বাগান কর্তৃপক্ষের দাবি, লকডাউন পরিস্থিতিতে প্রত্যেক বাগান আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এজন্য মজুরি বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়।