নির্দেশ মেনেই কাজ: বললেন পর্যটনমন্ত্রী

রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘ভোরের আলো প্রকল্পের কাজের প্রথম দফার কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। যাঁর ভাবনার ফসল এটি, সেই মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়েই এটির সূচনা হবে। ঠিক কবে তা হবে আমার বলার এক্তিয়ার নেই। সেটা নবান্ন থেকেই জানানো হবে।’’

Advertisement

কিশোর সাহা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৮ ০৮:৪০
Share:

প্রস্তুতি: গজলডোবায় চলছে ভোরের আলোর কাজ। নিজস্ব চিত্র

সব ঠিক থাকলে আগামী জুলাইয়ের গোড়াতেই তিস্তার ধারে সদ্য নির্মিত কটেজ থেকে ‘ভোরের আলো’ দেখার সূচনা হতে পারে। সরকারি সূত্রের খবর, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের প্রকল্প ‘ভোরের আলো’। তাঁর হাত দিয়েই প্রকল্প চালু হবে। সূত্রটি জানিয়েছে, আগামী মাসের মাঝামাঝি আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীই। কিন্তু, প্রকল্পের প্রথম দফার কাজ জুন মাসেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে জুলাইয়ের গোড়াতেও মুখ্যমন্ত্রী স্বল্প সময়ের জন্য উত্তরবঙ্গে আসতে পারেন বলে সরকারি সূত্রের।

Advertisement

রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘ভোরের আলো প্রকল্পের কাজের প্রথম দফার কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। যাঁর ভাবনার ফসল এটি, সেই মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়েই এটির সূচনা হবে। ঠিক কবে তা হবে আমার বলার এক্তিয়ার নেই। সেটা নবান্ন থেকেই জানানো হবে।’’ ঘটনা হল, সদ্যসমাপ্ত সফরে প্রশাসনিক বৈঠকের সময়ে গজলডোবার কটেজ থাকার উপযোগী শুনে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আগে জানলে সেখানেই থাকা যেত।’ এর পরেই জুলাইয়ের মাঝামাঝি আসার কথা জানিয়ে যান তিনি।

২০১২ সালে উত্তরবঙ্গ সফরের সময়ে শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ও ক্রান্তি মধ্যবর্তী এলাকায় তিস্তা ব্যারাজের পাশে মেগা ইকো ট্যুরিজম হাব তৈরির পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। শিলিগুড়ি থেকে সড়ক পথে আধ ঘণ্টার দূরত্বের ওই প্রকল্পের নাম দেন, ‘ভোরের আলো’। ২০৮ একর জমি চিহ্নিত করে পরিকাঠামো তৈরির জন্য ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। ইতিমধ্যেই পূর্ত দফতর একটি বড় অতিথি নিবাস, ডরমেটরি তৈরি করেছে। তিস্তার কাছেই তৈরি হয়েছে ৫টি আধুনিক মানের বাতানুকূল কটেজ। তার মধ্যে একটি কটেজ মুখ্যমন্ত্রীর থাকার উপযোগী করে সুরক্ষা বলয়ে রাখা হয়েছে।

Advertisement

সামনেই ভাসমান বাগান, গ্রিন হাউস, অদূরে অর্কিড পার্ক তৈরি হচ্ছে। তিস্তা ক্যানালে দুটি ‘হাউস বোট’ রাখা হবে। নৌকাবিহারের জন্য লাইফ জ্যাকেট সহ ৫০টি নৌকা কিনে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পর্যটন দফতর। শীতের সময়ে গজলডোবায় প্রায় ১৫ হাজার পাখি আসে বলে ‘ওয়াচ টাওয়ার’ হচ্ছে। ৩টি হাতি নিয়ে সাফারি হবে। সাইকেলে ভোরের আলো থেকে বেঙ্গল সাফারি যাতায়াতের ব্যবস্থাও করা হবে।

ঘটনাচক্রে, ওই প্রকল্প গড়ায় আপত্তি ওঠায় গ্রিন বেঞ্চের পক্ষ থেকে পরিবেশের উপরে প্রভাব বিষয়ক সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরিবেশ বিষয়ক সমীক্ষা রিপোর্ট জমা পড়েছে পরিবেশ আদালতে। তা নিয়ে শুনানি হয়নি। রাজ্য যদি এখনই প্রকল্প চালু করে তা হলে বলার কিছু নেই।’’ যদিও পর্যটন মন্ত্রী দাবি করেছেন, পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে সব পদক্ষেপ করেই কাজ হয়েছে। এতে বাড়তি সময় লেগেছে। না হলে আগেই সূচনার উপযোগী হয়ে যেত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement