গ্রেফতারির পর থেকে শ্রীঘরেই আছেন ভুয়ো পাত্র উদল এবং তাঁর স্ত্রী কাঞ্চন। প্রতীকী ছবি।
বিয়ের নামে প্রতারণার চেষ্টা। বৃহস্পতিবার বিয়ে করতে আসার পর শ্রীঘরে পাঠানো হল ভুয়ো পাত্রকে। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার তালসুর গ্রামের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, বিবাহযোগ্য মেয়ের জন্য উপযুক্ত পাত্র খুঁজছিলেন তালসুর গ্রামের বাসিন্দা শোভা পাশমান এবং সন্তোষ পাশমান। সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দা পরিমল মহালদার শোভা এবং সন্তোষের মেয়ের বিয়ের জন্য এক পাত্রের প্রস্তাব নিয়ে আসেন। পরিমল জানান, তাঁর আত্মীয়ের কাছে উপযুক্ত পাত্রের খোঁজ আছে এবং সেই পাত্র বিহারের বাসিন্দা। পরিবার সম্মতি জানালে, বিহারের পটনার গৌরীচক থেকে বিয়ের কথাবার্তার জন্য হরিশ্চন্দ্রপুরে আসেন পাত্র উদলকুমার যাদব এবং উদলের বৌদির পরিচয় দেওয়া কাঞ্চন দেবী।
হরিশ্চন্দ্রপুরে কথাবার্তা হওয়ার পর বিয়ের কথা পাকা করতে আত্মীয়দের নিয়ে পাত্রের পটনার বাড়িতে যান পাত্রীর পরিবার। সেখানে পৌঁছে স্থানীয় কিছু মানুষের কাছে তাঁরা জানতে পারেন, উদল বিবাহিত এবং বৌদির পরিচয় দেওয়া কাঞ্চন আসলে তাঁর স্ত্রী। তবে তাঁরা পুরো বিষয়টি জেনে গিয়েছেন বলে বুঝতে দেননি পাত্রীর পরিবার। পাকাকথা সেরে এবং বিয়ের দিন ঠিক করে হরিশচন্দ্রপুরে ফিরে আসেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার বিয়ের দিন ধার্য করা হয়েছিল। সেই মতোই বিয়ে করতে এসেছিলেন ভুয়ো পাত্র উদল। পাত্রপক্ষ হরিশচন্দ্রপুরে আসার পরই থানায় অভিযোগ জানান পাত্রীর মা শোভা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদল এবং তাঁর স্ত্রী কাঞ্চনকে গ্রেফতার করে হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
পাত্রীর পরিবারের দাবি, মেয়েকে পাচার করার উদ্দেশ্যেই তাঁদের মেয়েকে বিয়ে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। অভিযুক্তরা কোনও বড় পরিকল্পনা করেছিলেন বলেও দাবি পাত্রীর মা শোভার। পুরো ঘটনায় মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে উদল এবং কাঞ্চনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্তও শুরু হয়েছে।
গ্রেফতারির পর থেকে শ্রীঘরেই আছেন ভুয়ো পাত্র উদল এবং তাঁর স্ত্রী কাঞ্চন। তদন্তের জন্য ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।