ফাইল চিত্র
মুখে মাস্ক না পরলে মালদহে সরকারি মূল্যে কেনা যাবে না আলু। বুধবার সকাল থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে মালদহের একাধিক এলাকায় আলু বিক্রি শুরু করেছে কৃষি বিপণন দফতর। সেখানে আলু কিনতে লাইনে দাঁড়ালেই মাস্ক পরতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আলু বিক্রির কাউন্টারের লাইনে শারীরিক দূরত্বও বজায় রাখা হচ্ছে। মালদহ জেলা নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির কর্মীরা এ নিয়ে নজরদারি করছেন। এ দিকে, খোলা বাজারের চেয়ে কেজিতে অন্তত ১০ টাকা কম দরে আলু পেতে সকাল থেকেই কাউন্টারের সামনে বা মোবাইল ভ্যানের কাছে ভিড় জমে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সরকারি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর মধ্যে তো বটেই, এমনকী নতুন আলু ওঠার আগে পর্যন্ত আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় থাকা ‘সুফল বাংলা স্টলে’ ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করবে কৃষি বিপণন দফতর। কিন্তু মালদহে ‘সুফল বাংলা’ দোকান এখনও নেই। তবে এই জেলায় স্টল ভাড়া নিয়ে ও মোবাইল ভ্যানে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বুধবার থেকে আলু বিক্রি শুরু করেছে কৃষি বিপণন দফতর। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার শহরের মকদুমপুর বাজারের পাশে একটি কাউন্টার থেকে এ দিন সকালে আলু বিক্রি শুরু হয়। প্রতি দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত পর্যন্ত আলু বিক্রির জন্য কাউন্টার খোলা থাকবে। এক দিনে কোনও গ্রাহক চার কেজি পর্যন্ত আলু কিনতে পারবেন। এ ছাড়া মোবাইল ভ্যানে এ দিন রথবাড়ি বাজারে ওই দরে আলু বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়া, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন মার্কেট, ২ নম্বর গভর্নমেন্ট কলোনি বাজার, ঝলঝলিয়া বাজারের মতো এলাকাতেও আলু বিক্রি করা হবে। চাঁচলেও এ দিন আলু বিক্রি করা হয়েছে।
জেলা নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির সচিব অনুপম মৈত্র বলেন, ‘‘পূর্ব বর্ধমানের হিমঘর থেকে আলু কিনে আনা হয়েছে। জেলা নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির কর্মীরা তা বিক্রি করছেন। তবে আলু কেনার লাইনে দাঁড়াতে হলে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মোবাইল ভ্যানে আলু বিক্রির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম রাখা হয়েছে। প্রথম দিনেই আলু বিক্রিতে ব্যাপক সাড়া মিলেছে।’’
এক ক্রেতা কনককান্তি বড়াল বলেন, ‘‘সরকার বাজারের চেয়ে অন্তত ১০ টাকা কম দরে আলু বিক্রি করছে, এটা খুব ভাল উদ্যোগ।’’