নিজস্ব চিত্র
বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের তৎপরতায় বাড়ি ফিরলেন বাংলাদেশে আটকে পড়া যুবক। যুবকের নাম মানিক দেবনাথ। তাঁর বাবা বিনোদ দেবনাথের কথায়, ‘‘প্রথমে এই বিষয়টি নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তার পর ভারতীয় হাই কমিশনও উদ্যোগী হয়। এত দিন পরে ঘরে ফিরল মানিক।’’
অনুপ্রবেশের দায়ে সাজার মেয়াদ শেষ হলেও আইনি জটিলতায় দীর্ঘ দিন বাংলাদেশে আটকে ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার সীমান্তবর্তী গ্রাম ধরন্দার বাসিন্দা মানিক। তাঁর বাবা বিনোদ পেশায় কাঠমিস্ত্রী। বছর বত্রিশের মানিক মানসিক ভারসাম্যহীন। ২০১৯ সালের ৮ মার্চ মানিক ভুল করে কাঁটাতারহীন এলাকা উত্তর ঘাসুড়িয়া দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলেন বলে তাঁর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। এর পর বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)-র হাতে ধরা পড়েন মানিক। বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার একটি জেলে রাখা হয় তাঁকে। সাজার মেয়াদ ফুরালেও মানিককে ফিরিয়ে আনা যাচ্ছিল না। বছরখানেক আগে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদের দ্বারস্থ হন বিনোদ।
এর পরেই সাংসদ বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে চিঠি আসে রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দফতরে। সেখান থেকে রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগ ও বিএসএফের আধিকারিকদের চিঠি দিয়ে পদক্ষেপ করতে বলা হয়। অবশেষে মঙ্গলবার হিলির অভিবাসন চেকপোস্টে ভারতের হাতে মানিককে তুলে দেয় বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত বলেন, ‘‘মানিকের বাবা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বছরখানেক আগে। সামান্য মানসিক সমস্যা থাকায় মানিক ঢুকে পড়েছিল বাংলাদেশে। সেখানে ধরা পড়ার পর তার সাজা হয়। সাজা শেষ হলেও তাকে ফেরানো যাচ্ছিল না নানা আইনি জটিলতায়। বিষয়টি জানার পরেই আমি আমাদের বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু করি।’’
একই সঙ্গে মঙ্গলবার পার্শ্ববর্তী উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের সীমান্তবর্তী চোতরাগজ গ্রামের আরও দু’জন, তাজুবউদ্দিন ও মাস্টার আকেলকে ফেরানো হয়। জানা গিয়েছে, এই দু’জন ঘাস কাটতে কাটতে ভুল করে বাংলাদেশে ঢুকে গিয়েছিলেন।