ফস্কা গুলিতে বিপুল বিপত্তি

গুলি গায়ে লাগুক তা কেউ চাননি

রাত ন’টা হঠাৎই খবর এল দুই কর্মীকে এলাকায় আটকে রাখা হয়েছে৷ এলিফ্যান্ট স্কোয়াডের এক আধিকারিক ও পুলিশকে নিয়ে ছুটলাম এলাকায়৷ আমরা পৌঁছনোর আগেই বাসিন্দারা টহলরত কর্মীদের গাড়িতে করে দুই জখমকে হাসপাতালে পাঠান। তাঁদের চিকিৎসা দেখতে আমরা সেখানে যেতে চেয়েছিলাম৷ কিন্তু আমাদেরই ঘেরাও করে রাখেন বাসিন্দারা৷

Advertisement

বনকর্মীর কথা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৬ ০৭:১৩
Share:

রাত ন’টা হঠাৎই খবর এল দুই কর্মীকে এলাকায় আটকে রাখা হয়েছে৷ এলিফ্যান্ট স্কোয়াডের এক আধিকারিক ও পুলিশকে নিয়ে ছুটলাম এলাকায়৷ আমরা পৌঁছনোর আগেই বাসিন্দারা টহলরত কর্মীদের গাড়িতে করে দুই জখমকে হাসপাতালে পাঠান। তাঁদের চিকিৎসা দেখতে আমরা সেখানে যেতে চেয়েছিলাম৷ কিন্তু আমাদেরই ঘেরাও করে রাখেন বাসিন্দারা৷

Advertisement

রাত দুটো নাগাদ পুলিশ বাসিন্দাদের বুঝিয়ে সকলকে উদ্ধার করে৷ হাতির হামলা ওই এলাকায় নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। তার উপরে ওই এলাকায় যেভাবে বসতি ও ভুট্টার চাষ হচ্ছে তাতে করে যে কোনো সময় বড় কিছু হতে পারে৷ সে জন্যই আমাদের টহলরত কর্মীরা সেখানে গিয়েছিলেন৷ হাতি তাড়াতে ছররা গুলি ছোড়ার সময় দুজন বাসিন্দা জখম হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু আমাদের কর্মীদের সেই উদ্দেশ্য কখনওই থাকতে পারে না৷ তবে আমাদেরও অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে কাজ করতে হয়। রাতের অন্ধকারে কাজ করার মতো প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নেই। অনেক কর্মীর বয়স হয়েছে। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও মেলে না। এ সব কথা কে শুনবে?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement