অপেক্ষা: এনজেপি স্টেশনে
লকডাউনের পরে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে সংযোগকারী রেল পরিষেবা চালু হয়েছে। খুলেছে পাহাড়-ডুয়ার্সের পর্যটনও। এই অবস্থায় আগাম বুকিংয়ের হিসেব দেখাচ্ছে, আসন্ন শীতের পর্যটন মরসুমে উপচে পড়বে রেলের ঘর। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক দিকে যেমন সামাজিক মাধ্যমে কাঞ্চনজঙ্ঘার রাশি রাশি ছবি ডাক দিচ্ছে পর্যটকদের, অন্য দিকে এত দিন ঘরে আটকে থাকার পরে সবাই চাইছেন একটু বার হতে। তাই ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের পর থেকে আর কোনও ট্রেনেই আসন খালি থাকছে না। প্রতি মুহূর্তেই খোঁজ শুরু হয়েছে, আর কোন নতুন ট্রেন চালু হবে ডিসেম্বরে? রেলকর্তারা ইঙ্গিত দিলেও নিশ্চিতভাবে কিছু বলছেন না। তাঁদের দাবি, ট্রেন চালু হতে পারে, তবে তা বোর্ডের চূড়ান্ত নির্দেশের পরে।
২৪ ডিসেম্বরের পর থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে আসা বেশিরভাগ ট্রেনেই আসন সংরক্ষণের হার ১০০ শতাংশ। কয়েকটি ট্রেনে আরএসি পেরিয়ে ওয়েটিং লিস্টে ঢুকে গিয়েছে টিকিট। আগে হলে কাউন্টার থেকে কেনা ওয়েটিং টিকিট নিয়ে ট্রেনে ওঠা যেত (তবে অনলাইনে কাটলে ওঠা যেত না)। এ বারে ওয়েটিং টিকিটে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সিটিং রিজারর্ভেশনেও কাউকে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না বলেই জানান রেলকর্তারা। এখন পর্যন্ত পদাতিক, দার্জিলিং মেল, তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস ও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস চলছে। এখনও উত্তরবঙ্গ, কাঞ্চনকন্যা এবং শতাব্দীর মতো ট্রেনগুলি বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থায় টিকিট বুকিং দেখে কি বন্ধ ট্রেনগুলি চালু করা হতে পারে?
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, ‘‘আমরা যাত্রীদের সুবিধা-অসুবিধা দেখে ট্রেন চালানোর চেষ্টা করছি। যে যাত্রী স্পেশ্যালগুলি চলছে, তা চালু থাকবে। আরও কিছু নতুন ট্রেন চালু হতে পারে। তবে রেলবোর্ডের অনুমোদন পেলে তবেই।’’ রেল সূত্রে বলা হচ্ছে, প্রয়োজনে ক্লোন ট্রেনও চালানো হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে। সেগুলি বর্তমান ট্রেনগুলির মতো একই রুটে চলবে, তবে আধ বা এক ঘণ্টার ফারাকে।
উত্তরবঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, দুটি মরসুমে পর্যটন মার খেয়ে যাওয়ার পর এবার বড়দিনের ছুটিতেও যদি পর্যাপ্ত ট্রেন না চলার জন্য পর্যটকরা আসতে না পারেন, তার চেয়ে আক্ষেপের কিছু নেই। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘দ্রুতগামী ট্রেন এবং ডুয়ার্সগামী ট্রেন আরও চলুক। কারণ বড়দিনের পর্যটনের দিকেই অনেকটাই তাকিয়ে রয়েছি আমরা।’’