স্বামীর বাড়িতে ধরনা স্ত্রীর। নিজস্ব চিত্র।
একই গ্রামের যুবক-যুবতী। দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়েও করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তার পরও প্রেমিকের পরিবারে ঠাঁই মেলেনি। স্ত্রীর মর্যাদা পেতে তাই ওই তরুণী ধরনায় বসলেন স্বামীর বাড়ির সামনে। সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত পিঁপলা গ্রামে।
পিঁপলা গ্রামের বাসিন্দা চুনা দাসের ছেলে বর্মা দাস(২২) ও ওই গ্রামেরই কৃষ্ণ দাসের মেয়ে পূজা দাস(২১)-এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পূজার দাবি, বছর দেড়েক আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন তাঁরা। পরে তাঁরা ফিরে আসে গ্রামে। গ্রামে ফিরলেও প্রেমিকের বাড়িতে ঠাঁই মেলেনি। তাই পূজার বাবার বাড়িতেই আশ্রয় নিতে হয়েছিল তাঁদের।
বাড়িতে ঠাঁই দিলেও তাঁদের ওই বিয়ে মানতে পারেনি পূজার পরিবারও। তাই গত ২৯ নভেম্বর রাতে পরিবারের উপস্থিতিতে পুনরায় মালাবদল ও সাত পাকে ঘুরে বিয়ে করেন তাঁরা। যদিও সেই বিয়েতে তাঁরা উপস্থিতি ছিলেন না বলে দাবি যুবকের পরিবারের লোকেদের।
২ বার বিয়ে হওয়ার পরও স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর মর্যাদা পাননি পূজা। শেষে স্ত্রীর মর্যদা পেতে স্বামীর বাড়ির সামনে ধরনায় বসেছেন তিনি। তার পরই বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে পিঁপলা গ্রামে। এই বিষয়ে পাত্রের ভাই বলেছেন, ‘‘আমার দাদাকে অপহরণ করে এবং জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তাকে লুকিয়ে রেখেছে। মেয়েটি আমাদের বাড়িতে এসে জোর করে ধরনায় বসেছেন।’’