বধুকে খুনের অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।
বিয়ের দু’মাসের মধ্যে বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় উঠল খুনের অভিযোগ। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পণের জন্য তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। শুরু হয়েছে তদন্ত।
মৃতের নাম মুস্তরি খাতুন (২৩)। হরিশ্চন্দ্রপুরের সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়রামপুর গ্রামের বাসিন্দা আজিমুল আলির মেয়ে মুস্তরির সঙ্গে তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের পারোগ্রামের বাসিন্দা জিয়াউদ্দিন আহমেদের ছোট ছেলে মুতাহার আলির বিয়ে হয়েছিল কিছু দিন আগে। মৃতের পরিবারের দাবি, বছর খানেক আগে বিয়ে করলেও মুস্তরিকে তাঁর স্বামী নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তিও হয়। অবশেষে মাস দু’য়েক আগে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে এবং রেজিস্ট্রি হয় দু’জনের। কিন্তু বুধবার সকালে ফোন মারফত মুস্তরির মৃত্যুর খবর পান পরিবারের লোকজন।
মুস্তরির আত্মীয় শেখ আসমামুল হকের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য চাপ দিচ্ছিল মুতাহারের পরিবার। মুস্তরির পরিবারের দাবি, তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁদের দাবি,পণের দাবিতে মুস্তরির মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। এ নিয়ে মালদহ জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ‘‘বধূর স্বামী ভিন্রাজ্যে কাজ করেন। ঘটনার সঙ্গে তিনি যুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’