TMC

দীপালির পর পদে কে, চর্চা তৃণমূলে

শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তাঁর ঘনিষ্ঠ অনেককেই দলে টেনে নিতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে।

Advertisement

জয়ন্ত সেন 

মালদহ শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:০২
Share:

প্রতীকী ছবি।

শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে শনিবার মেদিনীপুরে গাজলের বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূল সূত্রেই খবর, শুভেন্দু এই জেলার তাঁর একদা অনুগামীদের এ বার বিজেপিতে টানার চেষ্টা করবেন। পাশাপাশি বিধানসভা ভোটে টিকিট না পেলে মালদহে তৃণমূলের একাধিক নেতা বিজেপিতে ঝুঁকতেও পারেন বলেও খবর। ফলে দল কি আরও ভাঙবে? বিধানসভা ভোটের আগে এমন আশঙ্কা পিছু ছাড়ছে না তৃণমূলের মালদহ জেলার শীর্ষ নেতৃত্বের।

Advertisement

দলের ভাঙন ঠেকাতে মালদহে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নামছে তৃণমূল। বেশ কয়েকবছর ধরে শুভেন্দুর ছায়াসঙ্গী হিসেবে নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে কারা বিজেপির দিকে পা বাড়াতে পারেন, সেই সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াবে তৃণমূল। পাশাপাশি, শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করবেন জেলা তৃণমূল সভাপতি মৌসম নুর। দলের দখলে থাকা জেলা পরিষদ, দুই পুরসভা, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও পৃথক বৈঠক করা হবে।

বেশ কয়েক বছর তৃণমূলের মালদহ জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু। গত বিধানসভা ও লোকসভায় শুভেন্দুর হাত ধরে জেলায় সাফল্য না পেলেও গত পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক সাফল্য পায় তৃণমূল। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তাঁর ঘনিষ্ঠ অনেককেই দলে টেনে নিতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে। দীপালির পর এ বার কে, সে প্রশ্নই এখন তৃণমূলের অন্দরে আলোড়ন ফেলেছে। দলের এক জেলা নেতা বলেন, ‘‘শুভেন্দু এমন একটা ডামাডোল পরিস্থিতি তৈরি করে দিয়েছেন যে তা দলের মধ্যে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়াই এখন চ্যালেঞ্জের।’’

Advertisement

জেলা তৃণমূল সভাপতি মৌসম নুর বলেন, ‘‘শুভেন্দু ও দীপালি দলত্যাগ করায় এই জেলায় দলে আর প্রভাব যাতে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে আমরা শীঘ্রই শীর্ষ নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করব। যে কোনও মূল্যে দলের ভাঙন আমরা রুখতে চাই।’’ যদিও বিজেপির জেলা সহকারি সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তৃণমূলে ভাঙনের বান এসেছে। এই বান রোখা সম্ভব নয়। এই জেলাতেও ভাঙন প্রকাশ্যে আসবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement