মনোনয়নের শেষ দিনও হিংসামুক্ত গেল না। — ফাইল ছবি।
উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বিডিও অফিসে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে গুলি। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিন জনকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বাম ও কংগ্রেস প্রার্থীরা চোপড়ায় মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন। আচমকাই মিছিলের উপর গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়া বিরোধী প্রার্থীরা। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই মিছিল লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে জোড়াফুল শিবির।
গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে বলেন, ‘‘আমরা দল বেঁধে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলাম। তৃণমূল অ্যাটাক করল। ওরা যেতে মানা করেছিল। আমাকে গুলি করল। আমার ভাতিজাকেও গুলি করেছে। বড় বড় বন্দুক দিয়ে মারধরও করেছে।’’
তৃণমূলের চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান অবশ্য এতে দলের যোগাযোগ রয়েছে বলে মানতে নারাজ। তাঁর পাল্টা দাবি, বামেদের নিজেদের মধ্যে গোলমালের জেরেই গুলিচালনার ঘটনা ঘটেছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের কোনও কর্মী, সমর্থক যাননি। ওরা নিজেদের মধ্যেই মারামারি করেছে। আমার কাছে খবর আছে, গত কয়েক দিন ধরে ওরা মনোনয়ন জমা দেওয়ার লোক পায়নি। আজ শুনলাম তিন-চারশো লোক নিয়ে পায়ে হেঁটে মনোনয়ন জমা দিতে যাবে। রাস্তায় নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছে। সিমপ্যাথি পেতে বিরোধীরা নাটক করছে।’’