রাত্রিবাসের আয়োজন ক্রান্তিতে। নিজস্ব চিত্র
তিপান্নটি তাঁবু, সিসি ক্যামেরার নিবিড় নজরদারির বন্দোবস্ত হয়েছে ক্রান্তির ভান্ডারি মাঠে। তিপ্পান্নটির মধ্যে চারটি বাতানুকূল তাঁবুতে ‘ভিআইপি’-দের থাকার ব্যবস্থা থাকবে। এই মাঠেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আজ, শুক্রবার সন্ধে থেকে জনসংযোগ কর্মসূচি, রাতেও থাকবেন। ক্রান্তির এই মাঠে এবং তাঁবুতেই জলপাইগুড়ি জেলার ৬টি ব্লকের ৩৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক আসনের প্রার্থী বাছতে ভোট নেওয়া হবে। তবে কাদের ভোটাধিকার রয়েছে, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। অঞ্চল থেকে ব্লককমিটির প্রতিনিধিদের সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে ক্রান্তিতে যেতে বলা হয়েছে। তাঁদেরও ভোট দেওয়ার সুযোগ হবে বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতারা। ভোট নেওয়াকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অশান্তি না হয় সে কারণে আগেভাগে দলের তরফ থেকে প্রচার চলছে, দলের তরফে দেওয়া ‘লিঙ্কে’ ঢুকেও সকলে ভোট দিতে পারবেন।
আলিপুরদুয়ার থেকে আজ সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ জলপাইগুড়িতে পৌঁছবেন অভিষেক। গয়েরকাটা চৌপথি মোড়ে জলপাইগুড়ি জেলা নেতারা স্বাগত জানাবেন অভিষেককে। সেখান থেকে সোনাখালি বাজারে একটি মাজারে যাবেন অভিষেক। এই দু’টিই ধূপগুড়ি বিধানসভায়। এর পরে, নাগরাকাটাবিধানসভাএলাকায় বিরসা-মুন্ডার মূর্তিতে মালা দিয়ে জনসংযোগ করবেন অভিষেক। তার পরে পর পর নাগরাকাটা, মেটেলি এবং ওদলাবাড়িতে তিনটি জনসভা করবেন অভিষেক।ওদলাবাড়ির জনসভা সেরে ক্রান্তির ভান্ডারি মাঠে অধিবেশনস্থলে পৌঁছবেন অভিষেক। সেখানেই হবে ভোটগ্রহণ।
তিন হাজার কর্মীকে নিয়ে নৈশাহার করার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রান্নার জন্য আলাদা ব্যবস্থা হচ্ছে মাঠে। জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা রয়েছে কর্মীদের মধ্যে। শুধু দল নয় স্থানীয় গ্রামবাসীরাও অপেক্ষা করে রয়েছেন অভিষেকের।” জলপাইগুড়ি বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর মন্তব্য, “গ্রাম পঞ্চায়েতে কী ভাবে ছাপ্পা ভোট দিতে হবে তার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তৃণমূল। জলপাইগুড়ির প্রশিক্ষণ ক্রান্তিতে হবে।”
দিনের শেষে যে প্রশ্ন ঘুরে ফিরে এসেছে নেতা-কর্মীদের আলোচনায়, তা হল প্রার্থী বাছাইয়ে ভোট দেবেন কারা। এ দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অঞ্চল এবং ব্লক নেতাদের কাছে কলকাতায় অভিষেকের দফতর থেকে ফোন আসতে শুরু করেছে। ফোন করে পরিচয়পত্র নিয়ে ভোট দিতে যেতে বলা হচ্ছেতৃণমূলের অফিস থেকে। কাউকে কাউকে দেওয়া হচ্ছে ভোট পরিচালনা করার দায়িত্বও। কোচবিহারের বিশৃঙ্খলার পরে, জলপাইগুড়ির আইনজীবী নেতাদেরও ভোট পরিচালনার সঙ্গে যুক্তকরা হয়েছে।