West Bengal Lockdown

নোডাল অফিসের কথায় বাড়ি ফেরা নিয়ে ধন্দে শ্রমিক

মালদহ জেলা থেকে আরও হাজার হাজার শ্রমিকের সঙ্গে কাজের খোঁজে মহারাষ্ট্রের পুণেতে কয়েক বছর আগে পাড়ি দিয়েছিলেন বৈষ্ণবনগর থানার ১৬ মাইল, বাজারতি ও বৈষ্ণবনগর গ্রামের ১৫ জন বাসিন্দা। তাঁরা সকলেই বহুতল নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ ও করণদিঘি শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২০ ০৭:৩২
Share:

পুণের তালেগাঁও আরি এলাকায় আটকে মালদহের শ্রমিকেরা। (নীচে) কেরলে আটকে উত্তর দিনাজপুরের শ্রমিকেরা। নিজস্ব চিত্র

ফোনে রাজ্যের নোডাল অফিসারের সঙ্গে কথা হলে বলা হচ্ছে- ‘‘ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ আর মহারাষ্ট্রের নোডাল অফিসারের সঙ্গে কথা বললে জানানো হচ্ছে- ‘‘পশ্চিমবঙ্গ থেকে কোনও খবর নেই।’’ এমনই অভিযোগ তুলে বাড়ি ফেরা নিয়ে আতান্তরে মহারাষ্ট্রের পুণের তালেগাঁও এলাকায় আটকে থাকা মালদহের বৈষ্ণবনগরের ১৫ জন পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের বক্তব্য, লকডাউনের পর থেকে তাঁরা কর্মহীন। হাতে থাকা সমস্ত টাকাপয়সা খরচ হয়েছে। চেয়ে-চিন্তে চাল জোগাড় করে একবেলা খেয়ে দিন কাটছে।

Advertisement

মালদহ জেলা থেকে আরও হাজার হাজার শ্রমিকের সঙ্গে কাজের খোঁজে মহারাষ্ট্রের পুণেতে কয়েক বছর আগে পাড়ি দিয়েছিলেন বৈষ্ণবনগর থানার ১৬ মাইল, বাজারতি ও বৈষ্ণবনগর গ্রামের ১৫ জন বাসিন্দা। তাঁরা সকলেই বহুতল নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত।

১৬ মাইলের বাসিন্দা সইফুদ্দিন শেখ বলেন, ‘‘লকডাউনেকাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারিনি। বাবা, মা, স্ত্রী ও ছেলে রেশন থেকে তোলা চাল খেয়ে কোনও রকমে দিন কাটাচ্ছে। আমরা আশপাশের বাসিন্দাদের থেকে চাল চেয়ে নিয়ে এসে রান্না করছি। এক বেলা খাচ্ছি।’’ বাজারতির গিয়াসউদ্দিন শেখ বা বৈষ্ণবনগরের তরুণ মণ্ডল, জিতেন রায় বলেন, ‘‘বাড়ি ফেরার ব্যাপারে ফোন নম্বর জোগাড় করে রাজ্যের নোডাল অফিসারের দফতরে ফোন করলে বলা হচ্ছে— ব্যবস্থা হচ্ছে। আর মহারাষ্ট্রের নোডাল অফিসারকে ফোন করলে বলছেন যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ফেরানোর ব্যাপারে কোনও খবর নেই। আমরা বাড়ি ফেরা নিয়ে দিশাহারা।’’

Advertisement

কেরল, মহারাষ্ট্র, তামিলনাডু, রাজস্থান, দিল্লি-সহ বিভিন্ন রাজ্যে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া, করণদিঘি, চোপড়া, ইসলামপুর এবং ইটাহার এলাকার প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক আটকে। অনেকে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। কেরলে আটকে আছেন উত্তর দিনাজপুরের প্রায় দু’হাজার শ্রমিক। আবু সুফিয়ান নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘‘বাড়ি ফেরার জন্য দিনরাত প্রশাসনিক হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করছি। কিন্ত কেউ ফোন ধরেননি। ফর্মপূরণের ক্ষেত্রে স্ট্যাটাস দেখাচ্ছে— পেন্ডিং। কী ভাবে বাড়ি ফিরব তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

এই বিষয়ে গোয়ালপোখরের বিধায়ক তথা রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছে।’’

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement