ফেরার বাস ধরতে। নিজস্ব চিত্র
এখন রাজস্থানের তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৪২ ডিগ্রির আশেপাশে, বইছে লু। এর মধ্যেই বুধবার দুপুরে নন এসি বাসে চেপে শিলিগুড়ির দিকে রওনা হলেন কোটায় আটকে পড়া এ রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা। ঘরে ফেরার আনন্দ ভুলিয়ে দিয়েছে গরমের কষ্টও। ফেরার খবরে খুশি শিলিগুড়িতে থাকা তাঁদের অভিভাবকরাও।
কোটায় কোচিং নিতে গিয়ে আটকে পড়া এ রাজ্যের আড়াই হাজারের বেশি পড়ুয়া বুধবার দুপুরে কোটা থেকে রওনা হয় শিলিগুড়ি, কলকাতা এবং আসানসোলের দিকে। তারমধ্যে উত্তরবঙ্গে ফিরছে প্রায় হাজার পড়ুয়া। কোটা জেলা প্রশাসন সূত্রে দাবি, বাসে পর্যাপ্ত পানীয় জল এবং শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাসগুলি সব রাজস্থানের।
দেশবন্ধুপাড়ার বাসিন্দা সঞ্জীব সরকার তাঁর মেয়েকে আনতে গিয়ে লকডাউন শুরু হওয়ায় আটকে পড়েছিলেন কোটায়। এ বার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ফিরছেন তিনিও। তিনি বলেন, ‘‘বাসে সামাজিক দূরত্ব অতটা বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না ঠিকই, তবে এখন কোনওরকমে বাড়ি ফিরতে পারলেই বাঁচি।’’ প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তরবঙ্গের বাসগুলির এসে পৌঁছনোর কথা শিলিগুড়িতে। আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা জইনুল হকের ছেলে আলতাফও বুধবার কোটা থেকে বাসে রওনা হয়েছে। জইনুল বলেন, ‘‘অনেক জায়গায় আর্জি জানানো পরে অবশেষে ছেলে ঘরে ফিরছে। এ বারের ইদ ভাল কাটবে।’’
প্রদেশ কংগ্রেস নেতা তথা দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে প্রথমে সাংসদ অধীর চৌধুরী এবং আমি দাবি তুলি। রাজ্য সরকার চাইলে অনেক আগেই ছেলেমেয়েরা নিজের বাড়ি ফিরে আসতে পারত।’’ গত কয়েকদিন থেকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ছাত্রছাত্রীদের ফেরানোর ব্যাপারে কথা বলছিলেন বলে জানিয়েছেন শঙ্কর। যদিও দার্জিলিং জেলা তৃণমূল নেতাদের দাবি, রাজ্য সরকার ঠিক সময়ে পদক্ষেপ করেছে। এতজন ছাত্রছাত্রীকে ফেরানোর জন্য উত্তরপ্রদেশ, বিহারের মত অন্যান্য রাজ্যের অনুমোদন প্রয়োজন থাকে।