প্রতীকী ছবি।
রেললাইনের ধার থেকে এক রাজমিস্ত্রির মৃতদেহ উদ্ধার হল। বুধবার সকালে চাকুলিয়া থানার কানকি এলাকায়। রেল পুলিশ জানায়, মৃতের নাম গোপাল ঋষি(২০)। বাড়ি বিহারের কাটিহার জেলার বলরামপুর থানার মারাডাঙ্গি এলাকায়। তিনি নেপালের ঝাপা জেলার মিরচিনগর এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।
ডালখোলা রেলপুলিশের ওসি চন্দন রায়ের বক্তব্য, গোপাল নেপালের মেচিনগর থেকে হেঁটে ডালখোলা হয়ে বিহারের মারাডাঙ্গি এলাকার বাড়িতে ফিরছিলেন। সেই সময় এ দিন ভোরে কানকি এলাকায় কলকাতাগামী কোনও মালগাড়ির ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়। ওই যুবকের সঙ্গে আরও কেউ ছিলেন কিনা, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। এ দিন রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
রেল পুলিশ সূত্রে খবর, গোপালের বাবা বছর দু’য়েক আগে মারা গিয়েছেন। মা রেখা গৃহবধূ। বাবার মৃত্যুর পরে গোপাল নেপালের মেচিনগর এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজে যোগ দেন। গোপালের বাড়ি, বিহারের বলরামপুর থানার মারাডাঙ্গি এলাকা করণদিঘি থানার টুঙ্গিদিঘি থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে।
গোপালের কাকা নাকলা ঋষির দাবি, ওই যুবকের রোজগারের টাকায় তাঁর সংসার চলত। লকডাউনের জেরে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গোপাল কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর রোজগার বন্ধ থাকায় সংসারে অনটন ছিল। টাকার অভাবে নেপালে গোপালের খাবারেরও অভাব দেখা দিয়েছিল। নাকলার কথায়, ‘‘এই পরিস্থিতিতে গোপাল কয়েক দিন আগে হেঁটে মিরচিনগর থেকে ২০০ কিমি দূরের বাড়িতে রওনা দেন। সম্ভবত, সে ডালখোলা থেকে রেললাইন ধরে টুঙ্গিদঘির দিকে হেঁটে আসছিল।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)