ঘরে বসেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাত অব্যাহত রাখলেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা। এবার রেশন নিয়ে সরব হলে তিনি। রাজ্য সরকার উত্তরবঙ্গে গরিব মানুষের কাছে বিনামূল্যে রেশনের খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে ব্যর্থ বলে শুক্রবার বিজেপির এই সাংসদ সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে অভিযোগ করলেন। তৃণমূলের অবশ্য কটাক্ষ, পুলিশের কড়াকড়িতে নতুন করে লকডাউন ভাঙতে না পারায় বাড়িতে বসেই সস্তার রাজনীতি করছেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ।
লকডাউন ভাঙার অভিযোগে গত সোমবার বীরপাড়া থানায় জন বার্লার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। পরদিন সাংসদ পাল্টা অভিযোগ করেন, তিনি যাতে গরিব মানুষের কাছে পৌঁছতে না পারেন, সে জন্য তাকে তাঁর ধূপগুড়ির লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানের বাড়িতে গৃহবন্দি করে রেখেছে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ। যা নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে দিল্লিতে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করেন তিনি। পুলিশ অবশ্য জানিয়ে দেয়, সাংসদ গৃহবন্দি নন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণামতো সকলে যাতে লকডাউন মেনে চলেন, সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে।
তবে নিজের বাড়িতে বসেই রাজ্যের সমালোচনা জারি রেখেছেন জন। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি চিঠি পাঠিয়ে বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, লকডাউনে রাজ্য সরকার উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। জনের অভিযোগ, রেশন কার্ড না থাকায় বহু মানুষ খাদ্য সামগ্রী থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অনেককে আবার রেশন কার্ড থাকা সত্ত্বেও টাকা দিয়ে খাদ্য সামগ্রী কিনতে হচ্ছে।
আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, সরকারি নিয়মেই রেশনের সামগ্রী বিলি চলছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, ‘‘আসলে ঘরে বসে সস্তা রাজনীতি করতে চাইছেন সাংসদ। সে জন্যই ভিত্তিহীন এমন অভিযোগ করছেন।’’