রাজ্যপালের কনভয়ের সামনে তৃণমূলের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
আবার তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার দার্জিলিঙের রাজভবনে যাওয়ার সময় তাঁর কনভয়ের সামনে কালো পতাকা দেখান তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। দুপুরে শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে স্টেট গেস্ট হাউসের উদ্দেশে রওনা দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ঠিক স্টেট গেস্ট হাউসের সামনেই রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখায় তৃণমূল। বস্তুত, শুক্রবারই তৃণমূলের তিন সদস্যের একটি দলের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রাজ্যপালের। তার আগে এই বিক্ষোভ নিয়ে তৃণমূল জানাচ্ছে, এটা সর্বসাধারণের বিক্ষোভ।
এর আগেও রাজ্যপালকে ঘিরে বিক্ষোভ হয়েছে। শুক্রবারের এই ঘটনা প্রসঙ্গে দার্জিলিঙের জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, ‘‘বিক্ষোভ শুধুমাত্র তৃণমূল করছে না। আমাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও এই বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল শিক্ষাক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছেন। যে ভাবে তাঁর পদের অপব্যবহার করছেন, তাতে রাজ্যপালের পদের মর্যাদা ভূলণ্ঠিত হয়েছে। এতে বাংলার মানুষ ক্ষুব্ধ। সারা বাংলায় এ নিয়ে অসন্তোষের ঝড় বইছে।’’
এই বিক্ষোভের মধ্যে রাজ্যপাল বোস শিলিগুড়ির স্টেট গেস্ট হাউসে পৌঁছোন। সূত্রের খবর, সেখানে বিশ্রামের পর তিনি দার্জিলিঙের রাজভবন রওনা দেবেন। সেখানেই তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা।
বস্তুত, রাজ্য বনাম রাজ্যপাল বোসের সংঘাত তীব্র হয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় রাজ্যপাল তথা রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোস অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবেন না। তা ছাড়া, ইতিমধ্যে তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে যাঁদের নিয়োগ করেছেন, তাঁরা কোনও জরুরি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।
অন্য দিকে, কলকাতায় রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, রাজ্যপাল কলকাতায় ফিরে দেখা না করা পর্যন্ত রাজভবনের সামনেই বসে থাকবেন তৃণমূল নেতৃত্ব।