বাগডোগরা বিমানবন্দর। ফাইল চিত্র।
জমি জট কাটাতে কমানো হল বাগ়ডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ এবং আধুনিকীকরণের জন্য প্রস্তাবিত জমির পরিমাণ। সরকারি সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার থেকে বিমানবন্দরের জমি নিয়ে রাজ্য সরকার ও এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এএআই) যৌথ সমীক্ষা শুরু হয়েছে। গত প্রায় দুই বছর জমি জট ছাড়াও করোনা, লকডাউনের জেরে কাজ আটকে ছিল। নতুন ভাবে তা আবার শুরু হল। সরকারের সঙ্গে আলোচনায় ঠিক হয়েছে, ১০৫ একর নয় আপাতত ৯৮ একর জমি হস্তান্তর করেই বিমানবন্দরের পরিকাঠামোর কাজ শুরু করা হবে। যে সাত একর বাদ রাখা হচ্ছে তার মধ্যে ৫.৯ একর বায়ুসেনার জমি। সেটির ব্যবহারের অনুমতি মেলেনি। বাকি সামান্য অংশেও কিছু সমস্যা রয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে এই অংশটুকু ছেডেই ৯৮ একর জমি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
বিমানবন্দর অধিকর্তা সুব্রমণী পি বলেন, ‘‘সেনার জমিসহ কিছু জমি ছেড়েই জমি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আপাতত আমরা ৯৮ একর নিচ্ছি। যৌথ সমীক্ষাও হচ্ছে। বাকি সব সময়মত ঘোষণা করে দেওয়া হবে।’’
২০১৯ সালেই বাগডোগরা যাত্রী সংখ্যা বছরে ৩০ লক্ষ পার হয়ে যায়। সেই সময়ে সম্প্রসারণের জন্যে রাজ্যের হাতে জমি না থাকায় বিমানবন্দরের চা বাগানের জমি বাছাই করা হয়। সেই জমির ভিতরে বায়ুসেনার জমি পড়ে যায়। কলকাতা বিমানবন্দরের আদলে নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নকশাও তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিমান মন্ত্রক ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথাও বলেছে।
এএআই-র অফিসারেরা জানান, বাগডোগরা বিমানবন্দরের জন্য বায়ুসেনা সব সময় সাহায্য করে থাকে। কিন্তু তাঁদের একটি সরকারি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। দিল্লি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। এবার তা নিয়ে দেরি হওয়ায় এএআই কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকার বায়ু সেনার অংশ বাদ দিতেই এগোতে চাইছে। এরমধ্যে আগামী ১১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল রানওয়ের কাজের জন্য বায়ুসেনা বিমানবন্দর পুরোপুরি বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে। তা হলে যাত্রী দুর্ভোগের একটা আশঙ্কা থাকছে।