বাতাসের পরে বিপদ বাড়ছে জলেও

পর্ষদের রিপোর্টে করলার ১০০ মিলিলিটার জলে ফেকাল কলিফর্মের মাত্রা মাত্র ৫ হাজার। এক সময়ে জলে বিষ মিশে রাশিরাশি মাছের মড়ক হয়েছিল করলায়। তারপর ধীরে ধীরে নদীর জলে বিষের মাত্রা কমেছে।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৮ ০১:৪৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

বাতাসে দূষণে ফের শীর্ষে উঠে এসেছে শিলিগুড়ি। সেই সঙ্গে বিপদ মহানন্দাতেও। এই নদীর দূষণের বিষ ক্রমেই বাড়ছে বলে জানাচ্ছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট। সমস্যাটি নতুন নয়। মহানন্দা দূষণ নিয়ে গ্রিন বেঞ্চে মামলাও রয়েছে। দূষণ ঠেকাতে বেঞ্চের কড়া নির্দেশও আছে। যদিও মহানন্দা আছে মহানন্দাতেই।

Advertisement

চলতি মাসে প্রকাশিত পর্ষদের নদী দূষণ রিপোর্টে মহানন্দা সাম্প্রতিক অতীতের রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে।

জল দূষিত কি না বোঝার অন্যতম উপায় হল কলির্ফম নামে একটি ব্যাক্টিরিয়ার উপস্থিতি। এই ব্যাক্টেরিয়ার নানা প্রকারভেদও রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মহানন্দা নদীর মাত্র ১০০ মিলিলিটার জলে ফেকাল কলির্ফম অর্থাৎ এই ব্যক্টিরিয়ার সব থেকে ক্ষতিকর উপাদনের মাত্রা ছিল ১ লক্ষ ৭০ হাজার ইউনিট।

Advertisement

পর্ষদের রিপোর্টে করলার ১০০ মিলিলিটার জলে ফেকাল কলিফর্মের মাত্রা মাত্র ৫ হাজার। এক সময়ে জলে বিষ মিশে রাশিরাশি মাছের মড়ক হয়েছিল করলায়। তারপর ধীরে ধীরে নদীর জলে বিষের মাত্রা কমেছে।

গ্রিন বেঞ্চের নির্দেশে মহানন্দার জলে নেমে গত বছর পুজো বন্ধ রাখা হয়। সে সময় নদীর জলের স্বাস্থ্য কিছুটা ফিরলেও গত ডিসেম্বর থেকে জলে ফের বিষের মাত্রা বাড়তে থাকে। ১০০ মিলিলিটার জলে মাত্র ৫০০ ইউনিট কলিফর্ম থাকার কথা। সেখানে শিলিগুড়ির মহানন্দায় এই পরিমাণ হাজার ছাপিয়ে লাখ ইউনিটে পৌঁছে গিয়েছে। শুধু তাই নয় জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি এক মাসে কলিফর্ম বেড়েছে ৪০ হাজার ইউনিট। মূলত গবাদি পশুর দেহাংশ থেকে শুরু করে বিষাক্ত বর্জ্য নদীতে ফেলাই মহানন্দা দূষণের অন্যতম কারণ বলে পর্ষদ জানায়। মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement