দেওয়াল লিখনে কৃষ্ণ ও বাসুদেব। নিজস্ব চিত্র
শনিবার বিকেল পর্যন্ত উত্তর দিনাজপুর জেলার পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেনি কোনও রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে শুক্রবার থেকে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রায়গঞ্জ বিধানসভা এলাকায় আনুষ্ঠানিক ভাবে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে দেওয়াল লিখন কর্মসূচির সূচনা করল বিজেপি ও তৃণমূল। তবে দুই দলের দেওয়াল লিখনে প্রার্থীদের নাম উল্লেখ না করে, দলীয় প্রতীক চিহ্ন এঁকে ভোট দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে রায়গঞ্জ ব্লকের কমলাবাড়ি ১ পঞ্চায়েতের বোগ্রাম এলাকায় দেওয়াল লিখন করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার। শনিবার সকালে রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন পঞ্চায়েতের সোহারইতে তৃণমূলের প্রার্থীদের সমর্থনে দেওয়াল লিখনে ছিলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী।
বাসুদেবের বক্তব্য, প্রার্থী থেকে দল বড়। তাই প্রার্থীদের নাম উল্লেখ না করে দেওয়াল লিখনে দলকে ভোট দেওয়ার আর্জি জানানো হচ্ছে। কৃষ্ণ বলেন, ‘‘কয়েক দিনের মধ্যেই রায়গঞ্জ বিধানসভার সব পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। তৃণমূল সারা বছর মানুষের পাশে থাকে। তাই দেওয়াল লিখনে প্রার্থীদের নাম থাকা বা না থাকা বড় ব্যাপার নয়।’’
তবে দেওয়াল লিখন কর্মসূচিতে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের আশঙ্কার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি বাসুদেবের কথায়, ‘‘এক দিনে পঞ্চায়েত ভোট হবে। ফলে, রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসন ভোটার ও বিরোধীদের কতটা নিরাপত্তা দিতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তৃণমূল গত বারের পঞ্চায়েত ভোটের মতো জেলা জুড়ে সন্ত্রাস করে ভোট লুট করবে বলে আশঙ্কা করছি।’’ অভিযোগ উড়িয়ে কৃষ্ণর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘জেলায় সন্ত্রাসের পরিবেশ নেই। সাধারণ মানুষ গণতান্ত্রিক পরিবেশে পঞ্চায়েত ভোটে গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হবেন।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটে জেলার অধিকাংশ আসনে বিজেপি প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না। তাই দলের দুর্বলতা আড়াল করতে সন্ত্রাসের আশঙ্কার নামে নাটক করছে বিজেপি। যদিও প্রার্থী না পাওয়ার কথা মানতে চাননি বাসুদেব।