সচেতনতা: যমরাজের মুখোশ পরে মাস্ক বিলি বাপনের। নিজস্ব চিত্র
আজ, সোমবার সপ্তম দফার ভোট। কিন্তু তার আগে দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহের ডিসিআরসিতে ভোটকর্মীদের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে দূরত্ব বিধি না মানা, এমনকি, মাস্ক না পরার অভিযোগ উঠল। এই দফায় স্বাস্থ্যবিধি আরও কড়াভাবে পালনের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেখানে খোদ ডিসিআরসিতেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষার ছবিতে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, আজ ভোটের দিন আদৌ স্বাস্থ্যবিধি পালন হবে কি না তা নিয়ে।
বালুরঘাট কলেজ ডিসিআরসি কেন্দ্রে ভোটসামগ্রী নেওয়ার লাইনে দূরত্ব বিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ। ভোটকর্মী, এমনকি, মাস্ক ছিল না কিছু পুলিশকর্মীর মুখেও। এদিন কলেজে গিয়ে দেখা যায়, ভোটের সামগ্রী এবং তালিকা মেলাতে মাঠেই বসে অনেকে। কারও মাস্ক থুতনিতে, কারও ব্যাগে। মাস্ক নেই কেন? এক কর্মী বলেন, ‘‘গরম। ছাউনির তলায় হাঁসফাস করছি। পরব।’’
জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচন আধিকারিক সি মুরুগান কেন্দ্রে গিয়ে পরে বলেন, ‘‘প্রথম দিকে একটু সমস্যা ছিল, আমরা অভিযোগ পেয়ে সবটা সামলে নিয়েছি।’’
বুনিয়াদপুর কলেজের ডিসিআরসি কেন্দ্রে ঢোকার সময়ে মুখে মাস্ক পরলেও ভেতরে গিয়ে অনেকেই মাস্ক খুলে ফেলেন বলে অভিযোগ। সামাজিক দূরত্ববিধিও শিকেয় ওঠে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই কেন্দ্র থেকে গঙ্গারামপুর মহকুমার দুই বিধানসভা কুশমণ্ডি ও হরিরামপুরের ভোটকর্মীরা এদিন রওনা দেন। গঙ্গারামপুর মহকুমাশাসক মানবেন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘‘করোনা রুখতে সবরকম স্বাস্থ্যবিধি যাতে ভোটকর্মীরা মেনে চলেন তা কঠোর ভাবে দেখা হচ্ছে।’’
এদিকে, ভোটকর্মীদের ভিড়ে করোনা বিধি উধাও হয়ে যায় মালদহ পলিটেকনিক কলেজের ডিসিআরসি কেন্দ্রে। অনেকেরই থুতনিতে মাস্ক ঝুলতে দেখা যায় বলে অভিযোগ। একই ছবি দেখা গিয়েছে চাঁচল মহকুমার ডিসিআরসি কেন্দ্রেও। বুথগুলিতেও মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার, থার্মাল গান দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। আজ, সোমবার মালদহের ৬টি বিধানসভা হবিবপুর, গাজল, রতুয়া, মালতীপুর, চাঁচল এবং হরিশ্চন্দ্রপুরে ভোট। ২১৫৭টি বুথে ভোটকর্মী রয়েছেন ৯৯০৯ জন। মালদহ পলিটেকনিক কলেজে হবিবপুর, গাজল এবং রতুয়া, চাঁচল কলেজে হরিশ্চন্দ্রপুর ও চাঁচল এবং চাঁচল সিদ্ধেশ্বরী ইন্সটিটিউটে মালতীপুর বিধানসভার ডিসিআরসি কেন্দ্র খোলা হয়েছে। অভিযোগ, কেন্দ্রগুলিতে ভিড় জমান হাজার হাজার কর্মী। ছিল না দূরত্ববিধি।
তথ্য সহায়তা: শান্তশ্রী মজুমদার, নীহার বিশ্বাস,অভিজিৎ সাহা