দ্বন্দ্ব: সংঘর্ষের পরে রাস্তায় পড়ে ইটের টুকরো। জগন্নাথপুরে। নিজস্ব চিত্র
জমি দখলের অভিযোগ ঘিরে দুই প্রতিবেশী পরিবারের লোকেদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তপ্ত মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের জগন্নাথপুর এলাকা। অভিযোগ, লোহার রড, হাঁসুয়া, ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দু’পক্ষ। বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি অগ্নিসংযোগও করা হয়। পুলিশ জানায়, সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দু’পক্ষের ১০ জন। তাঁদের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আহত এক মহিলাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
অভিযোগ, এলাকায় পুলিশ পৌঁছলে তাদের দিকে ইটবৃষ্টি হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, দু’পক্ষই নিজেদের তৃণমূল সমর্থক বলে দাবি করে বিপক্ষকে কংগ্রেসের লোক বলে চিহ্নিত করেছে। পুলিশ জানায়, সংঘর্ষে জড়িত অভিযোগে দু’পক্ষের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাড়ে চার কাঠা জমি দখল ঘিরে মোজাম্মেল হকের সঙ্গে প্রতিবেশী শেখ আলাউদ্দিনের গত ১০ বছর ধরে বিবাদ চলছে। বিবাদের জের আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আদালতের রায় তিনি পেয়েছেন বলে দাবি করে সোমবার জমিতে মাটি ভরার কাজ শুরু করেন আলাউদ্দিন। বাধা দেওয়ায় দু’পক্ষে সংঘর্ষ বেধে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা দু’পক্ষের লোকেদের সরিয়ে দিলে তখনকার মতো বিবাদ মিটে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ফের দুপক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয়। বাড়ি লাগোয়া খড়ের গাদায় আগুন লাগানো হয় বলে অভিযোগ। একে অন্যের দিকে হয় ইটবৃষ্টি। পুলিশ পরিস্থিতি সামলায়।
আলাউদ্দিন বলেন, ‘‘আদালতের রায় পেয়ে জমিতে মাটি ভরতে গিয়েছিলাম। পরিকল্পনা করেই ওরা হামলা করেছে।’’ নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করার পাশাপাশি বিপক্ষের লোকেরা কংগ্রেসের সমর্থক বলেও দাবি করেন আলাউদ্দিন।
পাল্টা নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করে মোজাম্মেল বলেন, ‘‘ওই জমি আমাদের। ওরাই আমাদের উপরে হামলা করেছে।’’
ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা তৃণমূল নেতা ওবাইদুর রহমান বলেন, ‘‘দু’পক্ষই আমাদের সমর্থক। তবে এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। জমি নিয়ে বিবাদের জেরেই ঘটনাটি ঘটেছে।’’