গ্রামবাসীই রাস্তা সারাচ্ছেন হরিশ্চন্দ্রপুরে

চাঁদা তুলে ইট, সিমেন্ট কিনে নিজেরাই শ্রম দিয়ে রাস্তা ও সেতুর সংযোগকারী রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করেছেন বাসিন্দাদের একাংশ।

Advertisement

বাপি মজুমদার

হরিশ্চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৮ ০৪:৫২
Share:

রাস্তার কাজ। নিজস্ব চিত্র

বেহাল রাস্তা ও সেতুর সংযোগকারী রাস্তা সংস্কারের জন্য একাধিকবার পঞ্চায়েত-প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বাসিন্দারা। কিন্তু ফল হয়নি। শেষে চাঁদা তুলে ইট, সিমেন্ট কিনে নিজেরাই শ্রম দিয়ে রাস্তা ও সেতুর সংযোগকারী রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করেছেন বাসিন্দাদের একাংশ। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের ডহরা প্রাথমিক স্কুল মোড় থেকে সুলতাননগর হাইস্কুল মোড় পর্য়ন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা গত দু’বছর ধরে বেহাল হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

বর্ষার পরে সেতুর সংযোগকারী রাস্তার পাশাপাশি গোটা রাস্তা জুড়েই অসংখ্য খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। বেহাল রাস্তার জন্য বাসিন্দাদের পাশাপাশি পড়ুয়াদের যাতায়াত প্রায় বন্ধের মুখে। ফলে বাধ্য হয়েই যাতায়াতের উপযোগী করে তুলতে প্রশাসনের ভরসায় না থেকে তাদের পথে নামতে হয়েছে। যদিও বাসিন্দাদের পক্ষে পুরো রাস্তাটির ঢালাও সংস্কার সম্ভব নয়, ফলে সমস্যা পুরোপুরি মিটবে না, জানাচ্ছেন বাসিন্দারা। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের বিডিও কৃষ্ণচন্দ্র দাস বলেন, পঞ্চায়েতকে বলে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

বাসিন্দারা জানান, হাসপাতাল, ব্লক, পঞ্চায়েত, স্কুলে যেতে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের ডহরা, নানারাহী, কুশোল, চকসাতন, ডাটিয়ন সহ ১০টি এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াতে একমাত্র ভরসা। পাশাপাশি ওই পথেই প্রতিদিন বিহারের আজমনগর থানার বাসিন্দারা হরিশ্চন্দ্রপুরে যাতায়াত করেন। এই এলাকার পড়ুয়ারা সুলতাননগর হাইস্কুলে পড়াশোনা করতে যায়। রাস্তাটি পাকা করার দাবি থাকলেও পাঁচ বছর আগে তা লালমাটির করা হয়। শীঘ্রই পাকা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হলেও হয়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement