এভাবেই দিন কাটছে ভাঙন দুর্গতদের। রতুয়ার ভাসারামটোলায়। নিজস্ব চিত্র।
কোথাও স্বস্তি, কোথাও অস্বস্তি। শুক্রবার নদীর জলস্তর নিয়ে এমনই দুই ছবি দেখা গেল মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুরে। দুপুরে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে পুরাতন মালদহের মহানন্দা ভবনে আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে প্রশাসনিক ভবনে বৈঠক করেন জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়াও।
সপ্তাহখানেক ধরে হরিশ্চন্দ্রপুরে ফুলহার নদীতে ভাঙন চলছে। নদীর জলস্তর কমতে রতুয়া ও হরিশ্চন্দ্রপুরে ভাঙনের প্রকোপ কমলেও, ভাঙনে ঘরবাড়ি হারানো মানুষদের ক্ষোভ বাড়ছে। দুপুরে গ্রামগুলি পরিদর্শন করে তাঁদের পুনর্বাসনের দাবি জানান উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারের উচিত, দ্রুত অসহায় মানুষদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।” পাল্টা, সাবিনা বলেন, “ভাঙনে ঘরহারা মানুষদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চলছে। তবে তা সময়সাপেক্ষ। বিজেপি সাংসদ সব জেনেও রাজনীতি করেন।” পুনর্ভবার শাখা নদী হাড়িয়ার জলের স্রোতে বামনগোলার চাঁদপুর পঞ্চায়েতে রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বহু গ্রামে। একাধিক প্রাথমিক স্কুল জলমগ্ন। এ দিন গ্রামে যান মহকুমাশাসক (মালদহ) পঙ্কজ তামাং। তিনি বলেন, “পাঁচটি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। কিছু চাষের জমি জলের তলায়। কৃষি দফতরকে তা দেখতে বলা হয়েছে।”
এ দিকে, উত্তর দিনাজপুরের সুধানি নদীর জল বেড়ে চাকুলিয়া হাই স্কুল ও নদীপার সংলগ্ন এলাকা জলমগ্ন হয়। প্রচুর বাড়িতে জল ঢুকে যাওয়ায় মানুষ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাসুদেব দে বলেন, ‘‘স্কুলের গার্ডওয়াল না থাকায় নদীর জল ঢুকে পড়েছে। স্কুলবাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে নদী। যে ভাবে জল বাড়ছে, তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছি। প্রশাসনকে জানিয়েছি।" স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ হাসিম আলম বলেন, ‘‘নদীর কারণে প্রায় প্রতি বছর দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়।’’ গোয়ালপোখর পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি আনোয়ার আলম বলেন, ‘‘বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন। ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।"
তথ্য সহায়তা: অভিজিৎ সাহা, বাপি মজুমদার, মেহেদি হেদায়েতুল্লা