দার্জিলিং হিলস ইউনিভার্সিটি। —ফাইল চিত্র।
বার বার উপাচার্য বদল নিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে চর্চা চলছেই। অন্য দিকে, রীতিমতো খারাপ পরিস্থিতি দার্জিলিং হিলস ইউনিভার্সিটির। সেখানে কোনও আধিকারিক বা কর্মী আজও নিয়োগ করা হয়নি। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের একাংশকেই সে কাজ দেখতে হয়। দু’দিন আগে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেখান থেকে সরিয়ে আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করার নির্দেশিকা দিয়েছেন। এ বার রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দার্জিলিং হিলস ইউনিভার্সিটিরও উপাচার্য করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
রথীন বন্দ্যোপাধ্যায় ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের প্রতিনিধি হয়ে পরিদর্শনের কাজে উত্তরবঙ্গের বাইরে যাচ্ছেন। ফিরে এসে আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে যোগ দেবেন। এ দিকে, উপাচার্য নিয়ে সূত্রের জল্পনা তৈরি হলেও দার্জিলিং হিলস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশিকা এখনও অবধি আসেনি।
উপাচার্য না থাকায় দার্জিলিং হিলস ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির প্রক্রিয়াও চালানো যায়নি এ বছর। হিলস ইউনিভার্সিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে পরীক্ষা বা ভর্তির প্রক্রিয়ার ‘অনলাইন’ ব্যবস্থা যে সংস্থা দেখভাল করেছে, তাদের টাকার একাংশ বকেয়া রয়েছে। তাই ফের নতুন ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে খরচের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্য বরাদ্দ অনুমোদন করলে তবেই সেই কাজ করা সম্ভব। সেই সঙ্গে এখনও ক্লাসঘরের ব্যবস্থা না হওয়ায় ‘অনলাইন’ পড়াশোনাই চলছে। এই ব্যবস্থায় বিপাকে পড়ার আশঙ্কায় অনেকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার উৎসাহ হারিয়েছেন। এ বছর ভর্তির প্রক্রিয়া কবে থেকে শুরু হবে এবং সে প্রক্রিয়া শুরু হলেও পড়ুয়ারা ভর্তি হতে কতটা উৎসাহী হবেন, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এখনও অবধি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্ট্যাটুট’ এবং কর্মসমিতিও তৈরি হয়নি।
অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সব কিছু ঠিক থাকলে নতুন উপাচার্য তথা অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস সি এম রবীন্দ্রন আগামিকাল, বৃহস্পতিবার উপাচার্য পদে যোগ দেবেন। কিন্তু গত চার মাসের মধ্যে এ ভাবে বার বার উপাচার্য বদল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পড়ুযা, শিক্ষাকর্মী ও আধিকারিকদের মধ্যে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে এবং অসন্তোষ দানা বেঁধেছে।