গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওয়েবকুপার ধিক্কার পোস্টার। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যপাল তথা আচার্যের উপাচার্যের ঘর ‘সিলের’ নির্দেশের পরে কেটে গিয়েছে তিন দিন। তবে সোমবার, ঘর খোলা ছিল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ দিন আসেননি উপাচার্য তথা বিশ্ববিদ্যালয়েরই বাংলা বিভাগের শিক্ষক রজতকিশোর দে। একাধিকবার ফোন করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, অসুস্থতার কারণে তিনি (রজতকিশোর দে) বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন না।
এ দিন রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে কলকাতা গিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস। তিনি বলেন, “রাজ্যপালের নির্দেশিকা আমরা উচ্চ শিক্ষা দফতরে ই-মেল করে জানিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় কী ভাবে চলবে, আগামীতে কী করণীয়, সমস্ত ব্যাপার নিয়ে উচ্চ শিক্ষা দফতরের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করা হচ্ছে।” রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে উপাচার্যের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে তৃণমূল প্রভাবিত কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষিকাদের সংগঠন ওয়েবকুপা। বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে ওয়েবকুপার তরফে রাজ্যপাল বিরোধী পোস্টার টাঙানো হয়েছে। রাজ্য সহ-সভাপতি মণিশঙ্কর মণ্ডল বলেন, ‘‘রজতকিশোরকে উপাচার্যের পদে বসিয়েছিলেন রাজ্যপাল-ই। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ওয়েবকুপার রাজ্য সম্মেলন হওয়ায় তাঁকে রাজ্যপাল উপাচার্যের পদ থেকে সরিয়ে দেন। তবে, রাজ্য সরকার তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকেই উপাচার্য পদে বহাল রেখেছে। ওয়েবকুপাও তাঁর পাশে আছে।” রাজ্যপালের দরজা ‘সিল’ করার নির্দেশের পরে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের দ্বারস্থ হন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, শুক্রবার রাতে রাজ্যপালের বিশেষ সচিব ই-মেল করে উপাচার্যের ঘর ‘সিলের’ নির্দেশ দেন। ই-মেলের মাধ্যমে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরকে পুরো ঘটনাটি জানানো হয়েছে।
সিপিএম প্রভাবিত কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকাদের সংগঠন ওয়েবকুটার জেলা সম্পাদক গজেনকুমার বাড়ই বলেন, “শিক্ষাঙ্গন নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি মুক্ত পরিবেশ চাই।”