শিলিগুড়ি পুরসভায় প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। — নিজস্ব চিত্র।
কর্মসূচি ছিল, পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতির দার্জিলিং জেলা কমিটির ডাকে বস্তিবাসীদের পাট্টা, পানীয় জল, হোল্ডিং নম্বর-সহ একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে শিলিগুড়ি পুরসভায় স্মারকলিপি প্রদান। আর তা করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়লেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য। বাধা পেয়ে পুরসভার গেটের সামনেই বসে পড়লেন ধর্নায়।
পুরনিগমের গেটের সামনেই পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়৷ বাধা পেয়ে বাকিদের নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন অশোক। একদা যে পুরসভার মেয়র ছিলেন, সেই নিগমের গেটের সামনেই ধর্না দিতে দেখা গেল প্রাক্তন মেয়র অশোককে। প্রায় ঘন্টাখানেক বিক্ষোভ অবস্থান চলার পর শিলিগুড়ি পুরনিগমের সচিবের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন বস্তি উন্নয়ন সমিতির সমর্থকেরা।
সমিতি জানিয়েছে, পুর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়ার কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু কমিশনার না থাকায় সচিবের কাছে জমা পড়ে স্মারকলিপি।
অশোক বলেন, ‘‘এখানে আমরা বেড়াতে বা ব্যক্তিগত কাজে আসিনি৷ শিলিগুড়িতে দেড়শোটি বস্তি রয়েছে। কয়েক লক্ষ মানুষের বাস সেখানে। তাদের একাধিক দাবি, অধিকার নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতির দার্জিলিং জেলা কমিটির পক্ষ থেকে স্মারকলিপি জমা দিতে আসি। কিন্তু সবাই দেখলেন, পুলিশ দিয়ে কী ভাবে আমাদের আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’ এর পরেই সরাসরি শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেবকে কটাক্ষ করেন প্রাক্তনী। তিনি বলেন, ‘‘মেয়র সাহেব সব সময়ই বলেন, সব কাজ নাকি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কোনও কাজই হয়নি। তারই প্রমাণ হিসাবে স্মারকলিপি জমা দিতে এসেছিলাম৷ কিন্তু প্রতি বারের মতো এ বারও পুলিশ দিয়ে পুরনিগমের সামনে আমাদের আটকে দিল। আমাদের বিক্ষোভ আগামী দিনেও চলবে। পুলিশ দিয়ে বার বার আটকানো যাবে না।’’