ডিজে বন্ধ করতে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে

বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ডিজে বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, চায় আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন মহল৷ সোমবার আলিপুরদুয়ারের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৩৫
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।

বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ডিজে বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, চায় আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন মহল৷ সোমবার আলিপুরদুয়ারের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে৷ এমনকি, ডিজে নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রবীণ নাগরিকদের একটি সংগঠনও হস্তক্ষেপ চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Advertisement

পুজোর আগেই একটি বৈঠকে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তরফে বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ডিজে বাজানো নিয়ে পুজোর উদ্যোক্তাদের সতর্ক করা হয়েছিল৷ প্রশাসন ও পুলিশের সেই বার্তা মেনে দশমীর দিন কিংবা পরের দিন বিসর্জনের শোভাযাত্রায় শব্দের তাণ্ডব কিছুটা কম ছিল বলেই মত বিভিন্ন মহলের৷ কিন্তু, দশমীর পরের রবিবার ও সোমবার আলিপুরদুয়ারের বেশিরভাগ বড় পুজোর বিসর্জন হয়৷ আর ওই দু’দিনই একের পর এক বিসর্জনের শোভাযাত্রা থেকে তারস্বরে ডিজে বাজতে থাকে বলে অভিযোগ৷

এর মধ্যে রবিবার কলকাতার কার্নিভালের ধাঁচে আলিপুরদুয়ার বক্সা-ফিডার রোডে বিসর্জনের শোভাযাত্রা আয়োজন করে এসজেডিএ৷ যার জন্য রাস্তার পাশে মঞ্চও বাঁধা হয়৷ যে মঞ্চে মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে শুরু করে ছিলেন খোদ জেলার পুলিশ সুপারও৷ কিন্তু অভিযোগ, সেই অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে দিয়েই ওই রাতে তারস্বরে ডিজে বাজিয়ে একাধিক শোভাযাত্রা যায়। এ নিয়ে সরব হয় আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন মহল৷

Advertisement

বিতর্ক থামাতে সোমবার সকালেই পুলিশের তরফে সাতটি পুজো কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান পুলিশ কর্তারা৷ কিন্তু অভিযোগ ওঠে, সোমবার রাতে বিসর্জনের শোভাযাত্রা থেকে ডিজের তাণ্ডব রবিবারকেও হার মানায়৷ যা নিয়ে ক্ষোভ বাড়তে থাকে আলিপুরদুয়ারে৷ জেলার শীর্ষ পুলিশ কর্তাদের নেতৃত্বে এত পুলিশকর্মীর মাঝে কী করে এ ভাবে ডিজের তাণ্ডব চলল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই৷ শেষ পর্যন্ত আরও একটি ক্লাবকে যোগ করে আটটি ক্লাবকে শব্দবিধি ভঙ্গ করার দায়ে নোটিশ পাঠায় পুলিশ৷ কিন্তু তার পরেও বিতর্ক থামেনি৷

সোমবার আলিপুরদুয়ারের প্রবীণ নাগরিকদের একটি সংগঠনের সম্পাদক ল্যারি বসু বলেন, ‘‘ডিজে বন্ধে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে আমরা তাঁকে চিঠি দেব৷’’

আলিপুরদুয়ারের প্রবীণ নাগরিকদের আরেকটি সংগঠনের সভাপতি বনবিহারী দত্ত বলেন, ‘‘বিসর্জনের শোভাযাত্রায় এ ভাবে ডিজে বাজলে প্রবীণ মানুষদের প্রচণ্ড সমস্যা হয়৷ মুখ্যমন্ত্রী এই মুহুর্তে উত্তরবঙ্গেই রয়েছেন৷ তাই বিষয়টি বন্ধে তিনি যদি একটু হস্তক্ষেপ করেন, তা হলে খুবই ভাল হয়৷’’

এ দিন আলিপুরদুয়ারের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে বিসর্জনে ডিজে বন্ধে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে তাঁকে চিঠি পাঠানো হয়েছে৷ সংগঠনের সম্পাদক বাবুন দাসের অভিযোগ, ‘‘বিসর্জনে তারস্বরে ডিজে বাজিয়ে যারা শব্দবিধি ভাঙলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি৷ সেজন্যই ডিজে বন্ধ-সহ গোটা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি৷’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement