ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় প্রায় তিন ঘণ্টা আটকে রইল উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস। ফলে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েন যাত্রীরা। অভিযোগ, নিউ কোচবিহার স্টেশনে ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের প্রায় চার ঘণ্টা পরে পৌঁছয়। রবিবার ভোরে এনজেপি ঢোকার মুখে চটেরহাটের কাছে তিনমাইল স্টেশন এলাকায় ওই ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। কেন ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে সে ব্যাপারেও রেলের তরফে যাত্রীদের কিছু জানান হয়নি। ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ আগে যাত্রীদের ফের কামরায় উঠতে বলা হয় মাত্র। শিয়ালদহ থেকে নিউকোচবিহারে সকাল ১০ টা নাগাদ ওই ট্রেনটির পৌঁছনর কথা থাকলেও তা পৌঁছয় দুপুর দু’টো নাগাদ।
ওই ট্রেনের এক যাত্রী অভীক পাল বলেন, “সকাল ৬টা নাগাদ ঘুম ভাঙতেই দেখি ট্রেন দাঁড়িয়ে রয়েছে। কেন ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে তাও জানান হয়নি। দীর্ঘক্ষণ চরম ভোগান্তিতে কাটাতে হয়। সকাল ৯টা নাগাদ ট্রেনটি ফের ছাড়লেও নিউকোচবিহার পৌঁছতে দুপুর গড়ায়।দিনটাই মাটি হয়েছে।”
যাত্রীদের অভিযোগ, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস পরিষেবা নিয়ে মাঝেমধ্যে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতির সময় থেকে নিউকোচবিহার-দিনহাটা সম্প্রসারিত রুটেও ওই ট্রেনটি চালানো হচ্ছে না। দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রাণা গোস্বামী বলেন, “দিনহাটা থেকে সরাসরি কলকাতা যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ওই ট্রেনটি। কোচবিহার জেলায় বড় সংখ্যক ওই ট্রেনেই কলকাতা যেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। অথচ পরিষেবা দিনের দিন খারাপ হচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকমতো হচ্ছে না। অগস্ট মাস থেকে দিনহাটাতে ঢুকছে না।’’ রেল সূত্রের অবশ্য দাবি, লাইন মেরামতের কাজ চলছে বলে সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। কাজ সম্পূর্ণ হলেই ট্রেনটি দিনহাটা পর্যন্ত চালান হবে।রবিবারের ঘটনা বিক্ষিপ্ত ব্যাপার মাত্র।
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের একর কর্তা বলেন, ‘‘ইঞ্জিন বিকল হয়েছে এমন কথা ঠিক নয়। নানা সময়ে যান্ত্রিক ত্রুটি হতেই পারে। লাইনের কাজও চলছিল। সকালেকুয়াশাও ছিল। সব মিলিয়েই দেরি হয়েছে।’’