Heat Stroke

তীব্র দহন! শিলিগুড়িতে অস্বাভাবিক মৃত্যু দু’জনের, নেপথ্যে হিট স্ট্রোক?

তাপ-আর্দ্রতার তুষানলে দক্ষিণবঙ্গ। উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতেও পারদ ৪০-৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে ফেলেছে। এই অবস্থায় গত ৪৮ ঘণ্টায় বাগডোগরায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হল দু’জনের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২৩ ১১:২১
Share:

গত ৪৮ ঘণ্টায় বাগডোগরায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হল দু’জনের। নিজস্ব চিত্র।

তাপ-আর্দ্রতার তুষানলে দক্ষিণবঙ্গ। উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতেও পারদ ৪০-৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে ফেলেছে। এই অবস্থায় গত ৪৮ ঘণ্টায় বাগডোগরায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হল দু’জনের। এক জন পুরুষ, অন্য জন মহিলা। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, তীব্র দহনে হিট স্ট্রোক হয়েই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার আপার বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়ের সামনে এক মহিলার দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সকালে কার্যালয় খুলতে গিয়ে কর্মীরা দেখেন, বারান্দায় মহিলার দেহ পড়ে রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত কয়েক দিন ধরেই অজ্ঞাতপরিচয় ওই মহিলা পঞ্চায়েত কার্যালয়ের বারান্দায় রাত্রিবাস করতেন। দেহ উদ্ধারের পরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। মহিলার দেহ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জীব সিন্হা বলেন, ‘‘কয়েক দিন ধরে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে রাত কাটাতেন ওই মহিলা। আজ কর্মীরা তাঁকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। আমার মনে হয়, অস্বাভাবিক গরমের কারণেই এই মৃত্যু।’’

বুধবার দুপুরে আপার বাগডোগরার পানিঘাটায় দোকানে বসে চা খেতে খেতে আচমকা এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। মৃতের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দা সুজন দেউসিয়া জানান, দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই সময় আচমকাই উপুড় হয়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। পরে দেখা যায়, তিনি মারা গিয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেহটি উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

Advertisement

শিলিগুড়ি মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘মৃত্যুর আসল কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত সঠিক ভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে প্রাথমিক ভাবে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা একেবারেই অস্বীকার করা যায় না। কারণ, শিলিগুড়ি শহর-সহ মহকুমার মানুষ এই ধরনের গরমে অভ্যস্ত নন। ফলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যাচ্ছে। তার জেরে মৃত্যুও হতে পারে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বাগডোগরায় এশিয়ান হাইওয়ের জন্য তৈরি বিশাল ফ্লাইওভারের কারণে যে ভাবে গাছ কাটা হয়েছে এটা তার প্রভাব। শিলিগুড়ি থেকে বাগডোগরার তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি। পাশাপাশি নদী-নালা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ডোবা বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফরেস্ট কেটে বহুতল হচ্ছে। এসির ব্যবহার বাড়ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement