জন বার্লা।
বুধবার দুপুরে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে হাজির ছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। লোকসভায় তখন বক্তব্য রাখছিলেন তাঁর দলেরই উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু। তখনই হল ‘হামলা’। বার্লার কথায়, “উত্তর মালদহের সাংসদের কথা মন দিয়ে শুনছিলাম। হঠাৎ দেখি, দর্শকাসন থেকে এক জন ঝাঁপালেন। প্রথমে ভেবেছিলাম, কেউ দর্শকাসন থেকে পড়ে গিয়েছেন। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে আরও এক জনকে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখে, বুঝলাম বিষয়টা অন্য কিছু।”
বার্লা জানান, ততক্ষণে তুলকালাম বেধে গিয়েছে লোকসভায়। দু’ঘণ্টার জন্য সংসদের কাজকর্ম স্থগিত রাখার কথা ঘোষণাও করা হয়ে গিয়েছে। আচমকা সংসদের ভিতর ধোঁয়ায় ঢাকতে শুরু করে।
বার্লা বলেন, “ওই দু’জন কেন ঝাঁপাল, প্রথমে বুঝতে পারিনি। তার পর দেখি, ওরা নিজেদের জুতো খুলছে। ভেবেছিলাম, জুতো দিয়ে হয়তো কাউকে মারতে চাইছে। কিন্তু মুহূর্তে সেই ধারণা ভাঙল। যখন দেখলাম, জুতোর মধ্যে থেকে ওরা কিছু একটা বার করল এবং সেটা থেকে ক্রমাগত ধোঁয়া বার হতে শুরু হল। আমার চোখ আচমকা জ্বালা করতে শুরু করল।”
২২ বছর আগে, সংসদ ভবনে হামলার সময় সাংসদ হননি জন বার্লা। তবে সাংসদ হিসাবে গত প্রায় পাঁচ বছরে এমন দৃশ্য সংসদ ভবনের ভিতরে তিনি দেখেননি। এ দিনের ঘটনায় তিনিও কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন তা স্বীকার করেন বার্লা। তবে সংসদ ভবনে এ দিনের এই ঘটনার পরে নিরাপত্তা নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের বিরোধিতা করেছেন তিনি। বার্লা বলেন, “জানি না, কোন সাংসদের পাসে সংসদ ভবনের দর্শকাসনে তাদের ঠাঁই হয়েছিল, কিন্তু সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে সব সময়ই কঠোর নিরাপত্তারক্ষীরা। কয়েক ধাপে শারীরিক তল্লাশির পরেই দর্শকাসনে কেউ যেতে পারেন।” একই সঙ্গে বার্লা বলেন, “ঘটনার পরে নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে লোকসভায় উপস্থিত থাকা সাংসদেরাই দুই হানাদারকে ধরে ফেলেন। তার পরে তাদের সামান্য মারধর করে সংসদের নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।”