প্রতীকী ছবি
পুকুর থেকে উদ্ধার হল দুই বোনের মৃতদেহ। বুধবার দুপুরে মালদহের মানিকচক থানার পুরানিপুর গ্রামে। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, পুকুরে স্নান করতে নেমে তলিয়ে মৃত্যু হয় দুই বোনের। তাঁদের পরিবারের লোকেরা তা মানতে চাননি। তাঁদের অভিযোগ, দু’জনকে খুনের পরে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তবে ওই ঘটনায় এ দিন সন্ধে পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। দু’টি মৃতদেহ ময়নাতদন্তে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম কাশ্মীরা বিবি (২৫) ও সাবানা খাতুন (১৫)। কাশ্মীরার স্বামী ভিন্ রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। এখনও তিনি ভিন্ রাজ্যেই রয়েছেন। দিদির শ্বশুরবাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলেন সাবানা।
তাঁদের পরিজনেরা জানান, চার বছর আগে কাশ্মীরার বিয়ে হয়। সন্তান না হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কাশ্মীরার উপরে অত্যাচার চালাতেন বলে অভিযোগ। পণ চেয়েও নির্যাতন করা হত। তা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে একাধিক বার সালিশি সভাও হয়েছে। তার পরেও কাশ্মীরার উপরে অত্যাচার কমেনি বলে অভিযোগ। তাঁর বাবা মোস্তালেব শেখ বলেন, “পণের টাকা, সংসারের কাজকর্ম নিয়ে বড় মেয়ের উপরে ওর শাশুড়ি, ননদ অত্যাচার করত। তাই ছোট মেয়ে সাবানাকে কাশ্মীরার বাড়িতে পাঠিয়েছিলাম।’’ তিনি জানান, এ দিন বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়ির কয়েক জন পড়শির কাছ থেকে তিনি খবর পান, পুকুরে তাঁর দুই মেয়ের মৃতদেহ ভাসছে। মোস্তালেবের নালিশ, তাঁর জামাই লোক দিয়ে দুই মেয়েকে খুন করে পুকুরে ফেলে দিয়েছে।
অভিযোগ মানতে চাননি কাশ্মীরার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। ওই বাড়ির এক জন বলেন, ‘‘এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ বাড়ির পাশের পুকুরে দুই বোন স্নান করতে যায়। ওরা জলে তলিয়ে গিয়েছে। ওদের চিৎকারে আমরাও ছুটে যাই। পুকুরে জাল ফেলে দু’জনকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। খুনের অভিযোগ ঠিক নয়।’’
মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘কোনও লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’