প্রতীকী ছবি।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের দৌলতনগরে অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ। অভিযোগ, হামলাকারীদের হাঁসুয়ার কোপে আহত হয়েছেন এক এএসআই ও সিভিক ভলান্টিয়ার। জমি নিয়ে বিবাদের জেরে গত রবিবার বাড়িতে চড়াও হয়ে তিন জনকে ধারালো অস্ত্রে কোপানোর অভিযোগ উঠেছিল বিপক্ষের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার দুপুরে ওই হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজে যায় পুলিশ। সেই সময় অভিযুক্তরাই হাঁসুয়া, ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড নিয়ে পুলিশের উপরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, সিভিককর্মীর গলা লক্ষ্য করে হাঁসুয়া চালানো হয়। প্রাণে বাঁচলেও কাঁধে আঘাত লাগে হাঁসুয়ার। পুলিশ জানায়, গুরুতর জখম হন সিভিক কর্মী সুব্রত মণ্ডল। এএসআই নটবর দাসের পায়েও হাঁসুয়ার কোপ মারা হয়। দু’জনকেই চাঁচল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আইসি সঞ্জয়কুমার দাস ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁকেও হাঁসুয়া নিয়ে তাড়া করা হয় বলে অভিযোগ। এর পরে এসডিপিও-র নেতৃত্বে এলাকায় পৌঁছয় বিরাট পুলিশ বাহিনী। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছে। রবিবারের ঘটনার পাশাপাশি এ দিন পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের ধরতে তল্লাশি চলছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি বিবাদের জেরে রবিবার নাইমুল হকের বাড়িতে প্রতিবেশী নিখিল মণ্ডল, তাঁর ভাই মুন্না দলবল নিয়ে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বাড়িতে ঢুকে তারা নাইমুলের ছেলে, পুত্রবধূ ও বোনকে ধারালো অস্ত্রে কোপায় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় ১৫ জনের নামে অভিযোগ জানানো হয়। তার মধ্যে ১৪ নম্বর জেলা পরিষদ আসনের মণ্ডল কমিটির সভাপতি তথা দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য উৎপল মণ্ডলের নামও রয়েছে। সোমবারই ওই ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল। এ দিন বাকিদের ধরতে এলাকায় যায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর পেয়ে এক অভিযুক্ত বুধুয়া মণ্ডলকে ধরতে হানা দেন এএসআই নটবর দাস ও কয়েক জন সিভিককর্মী। ওই সময়েই বুধুয়ারা পুলিশের উপরে হাঁসুয়া নিয়ে হামলা করে বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতা উৎপল এ দিনও বলেন, ‘‘আমার নাম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে জড়ানো হয়েছে। এ দিন কারা, কেন পুলিশের উপরে হামলা চালিয়েছে জানি না।’’