Balurghat Hospital

স্যালাইনের রড নিয়ে রোগীদের মারামারি! মুখে-মাথায় চোট, বালুরঘাট হাসপাতালে হুলস্থুল!

মারামারিতে জখম হন ফাগু পাহান নামে এক রোগী। ৬৪ বছরের ওই বৃদ্ধের বাড়ি বালুরঘাটের মাহিনগরে। মঙ্গলবার পেটে ব্যথার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসেন তিনি। তাঁকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৪ ১০:৫৮
Share:

বালুরঘাট হাসপাতালে যায় পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।

আরজি কর মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের প্রতিবাদে বুধবার রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মবিরতি এবং বিক্ষোভ চলছে। তার মধ্যে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, স্যালাইনের রড নিয়ে রোগীরা মারামারি করেন সেখানে। তাতে এক জন রোগী জখম হয়েছেন। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ওই রোগীর আত্মীয়েরা হাসপাতাল গেটের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বালুরঘাট থানার পুলিশ।

Advertisement

জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই রোগীর মধ্যে মারামারি হয়। তবে কী কারণ জানা যায়নি। স্যালাইনের রডের ঘায়ে এক রোগী জখম হন। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অন্য রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। জখম ওই রোগীর নাম ফাগু পাহান। ৬৪ বছরের ওই বৃদ্ধের বাড়ি বালুরঘাটের মাহিনগরে। মঙ্গলবার পেটে ব্যথার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসেন তিনি। তাঁকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, মধ্যরাতে পাশের বেডের এক রোগীর সঙ্গে কোনও বিষয় নিয়ে বচসা হয় ফাগুর। তার পরেই মারামারির ঘটনা। ফাগুর মুখে এবং মাথায় আঘাত লাগে। পরিবারের দাবি, তিনি ‘গুরুতর জখম’ হয়েছেন। কিন্তু, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তখন কী করছিলেন, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে রোগী পরিবারের লোকজন বুধবার সকালে বিক্ষোভ শুরু করেন। ওই খবর পেয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে যান বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা। তাঁর সঙ্গে ছিল পুলিশবাহিনী। হাসপাতালের মূল গেটে চলে যান দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ডিপিএসসির চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদারা। তাঁরা তদন্তের আশ্বাস দেন। পাশাপাশি, কী নিয়ে এই গন্ডগোলের সূত্রপাত, তার খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, এর আগেও এক আদিবাসী রোগীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নিয়ে বালুরঘাট হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। এখনও সেই রোগীর খোঁজ মেলেনি। গত সোমবার চিকিৎসার অভাবে এক নাবালকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে ওই হাসপাতালেই। যার প্রেক্ষিতে হাসপাতালে ভাঙচুরও চলে। বুধবার দুই রোগীর মারপিটের ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, হাসপাতাল সুপার বা সিএমওএইচ না-এলে তাঁরা বিক্ষোভ তুলবেন না। এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন বালুরঘাট হাসপাতালে সুপার কৃষ্ণেন্দুবিকাশ বাগ। তিনি বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। যে নার্স দায়িত্বে ছিলেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলা হবে। পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওয়ার্ডের মধ্যেই কী করে এত বড় ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement