নিজস্ব চিত্র
মৌসম-কৃষ্ণেন্দুর জুটিতে নয়া সমীকরণ? জেলা তৃণমূলের অন্দরে তাই নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম বেনজির নুর ও রাজ্য সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী যৌথ উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনী আয়োজন করেন রবিবার। কিন্তু এই সম্মিলনীতে উপস্থিত হননি বর্তমানে তৃণমূলের সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা নেতৃত্ব। তৃণমূলের মালদহ জেলা সভাপতি আব্দুল রহিম বক্সি জানিয়েছেন, দলের অনুমতি ছাড়াই এমন অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। আর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব মৌসম-কৃষ্ণেন্দুর জুটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিজয়া সম্মিলনীকে 'তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল' বলে কটাক্ষ করেছেন।
গত ২ নভেম্বর মালদহ কলেজ মাঠে জেলা তৃণমূলের উদ্যোগে শারদ সম্মান অনুষ্ঠান হলেও সেখানে দেখা যায়নি মৌসম ও কৃষ্ণেন্দু-সহ বেশ কিছু নেতাকে। মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, এক দিকে রয়েছেন জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম ও রাজ্যের বর্তমান মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসিন, অন্য দিকে রয়েছেন রাজ্যর প্রাক্তন মন্ত্রী কূষ্ণেন্দু ও রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম। এই পরিস্থিতিতে সামনের সপ্তাহেই পাল্টা বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করছে আব্দুর রহিমের গোষ্ঠী। আর এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কৃষ্ণেন্দু ও আব্দুর রহিম।
এই নিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু বলেন, ‘‘আমার ও মৌসমের উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে। পোস্টার দিয়ে আমরা সবাইকে ডেকেছি। কে আসবে, না আসবে, তাদের ব্যাপার।’’ জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি ও রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম বলেছেন, ‘‘এর আগের অনুষ্ঠানে আমাকে সম্মান দিয়ে ডাকা হয়নি। সেই কারণে শারদ সম্মান অনুষ্ঠানে যাইনি।’’
জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিমের মন্তব্য, ‘‘কে-কোথায় বিজয়া সম্মিলনী করল, আমার জানা নেই। আগামী সাত দিনের মধ্যে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে জেলা তৃণমূল বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান করছে। আর এই ধরনের ঘটনা রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হবে। এই পুরো পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপি-র জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেছেন, ‘‘যত দিন যাচ্ছে, তত তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়ছে।’’