বাবলু ও ফতিমার বাড়ি থেকে উদ্ধার প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা নগদ ও ৪৫ কেজি গাঁজা
শিলিগুড়িতে গাঁজাপাচারের ঘটনা বেড়ে গিয়েছে সম্প্রতি। সেই পাচার-চক্রকে অনেক দিন ধরেই হাতেনাতে ধরার চেষ্টা করছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু কোনও ভাবেই সম্ভব হচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ একটি বাড়িতে অভিযান চালায়। সেই অভিযানে গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। সম্পর্কে তাঁরা শ্বশুর-পুত্রবধূ। জানা যায়, ওই দু’জনেই এলাকায় গাঁজাপাচার-চক্রের মূল হোতা!
শিলিগুড়ির মাটিগাড়া থানার সুকান্তপল্লি এলাকায় বাড়ি বাবলু মহম্মদের। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেই সময় বাবলুর বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণে গাঁজা। তাঁর ঘরের মেঝের নীচ থেকে মিলেছে নগদ প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় বাবলুকে। গ্রেফতার করা হয় তাঁর পুত্রবধূ ফতিমাকেও। দফায় দফায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়। জেরায় তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বাবলু ও তাঁর বৌমা ফতিমা মিলে ওই গাঁজার কারবার চালাতেন এলাকায়। পুলিশি অভিযানের সময় বাড়িতে ছিলেন না ফতিমার স্বামী। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি পলাতক। তদন্তকারীদের অনুমান, বাবলুর ছেলেও এই কারবারের সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে পারেন। তাই তাঁকেও খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি মণীশ যাদব বলেন, ‘‘বাবলুর বাড়ি থেকে ৪৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। গোটা বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় মেঝের নীচ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।’’ প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, উদ্ধার হওয়া গাঁজা এসেছিল পড়শি জেলা কোচবিহার থেকে। তবে ওই বিপুল অর্থের উৎস সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি বলেই জানান মণীশ। তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িয়ে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সব দিক খতিয়ে দেখছি আমরা।।’’
শুক্রবার দুই ধৃতকে আদালতে হাজির করিয়ে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ।