Sourced by the ABP
স্কুলের দেওয়ালে বড়সড় মনিটরে ফুটে উঠছে পড়ানোর বিষয়বস্তু। পাঠ্যবইয়ের নীরস বিষয়গুলি অডিয়ো, রঙিন ছবি ও ভিডিয়োর মাধ্যমে জীবন্ত ভাবে ফুটে উঠতে দেখে তাতেই বুঁদ পড়ুয়ারা। শহরের নামী বা বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম কোনও স্কুলের নয়, এই ছবি উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের বালুচকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বুধবার থেকে ‘স্মার্ট ক্লাস’ শুরু হয়েছে ওই স্কুলে। এই উদ্যোগে খুশি পড়ুয়া, শিক্ষক ও অভিভাবক— সকলেই। প্রসঙ্গত, উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন জেলার প্রতিটি পঞ্চায়েতে একটি করে মডেল স্কুলের পরিকল্পনা নিয়েছে। জানুয়ারি মাসে জেলার ৯৮টি স্কুলে ‘স্মার্ট’ ক্লাসঘরের উদ্বোধন হওয়ার কথা। ওই প্রকল্পের অধীন বালুচকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্নার্ট ক্লাসের সূচনা হল। এ ছাড়া গোয়ালপোখরের কেলেন্তা জুনিয়র হাই স্কুলেও এদিন স্মার্ট ক্লাস চালু হয়েছে। বুধবার নতুন ক্লাসের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন গোয়ালপোখর সার্কেল পরিদর্শক (প্রাথমিক বিদ্যালয়) ইন্দ্রজিৎ দাস। তাঁর কথায়, ‘‘গোয়ালপোখরে স্মার্ট ক্লাস এই প্রথম। গ্রামীণ এলাকায় পড়ুয়াদের পাঠদানকে আকর্ষণীয় করতে এই উদ্যোগ। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি করে মডেল স্কুল গড়ে তোলা হবে।’’ স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাক-প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ার সংখ্যা ২৬৪। রয়েছেন ছ’জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। এমনিতে বেশ সাজানো স্কুলেটি। কিন্তু কী করলে স্কুলের মান বাড়ে, আরও বেশি করে স্কুলের প্রতি পড়ুয়াদের আগ্রহী করে তোলা যায়, লেখাপড়াকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায়, সেই ভাবনা থেকেই এই স্কুলকে মডেল স্কুল হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষক রামচন্দ্র বিশ্বাস বলছেন, ‘‘অভিনব ভাবনা। খুশি সকলেই। পড়ুয়ারা আনন্দে ক্লাস করছে।’’
এত্ত বড় ‘টিভিতে’ পড়া যাবে ভেবে রোমাঞ্চিত মধুমিতা দাস, নার্গিস পারভিন, মনিরুল আলমের মতো খুদেরা। তাদের কথায়, ‘‘খুব আনন্দ হচ্ছে।’’ অভিভাবক হাসিবুর রহমান বলেন, ‘‘গ্রামীণ পড়ুয়াদের কথা ভেবে শিক্ষকেরা যা করলেন তার তুলনা নেই।’’ কেলেন্তা জুনিয়র হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক আনোয়ার সাহাদাত বলেন, ‘‘এখন অ্যাপ-নির্ভর ব্যবস্থায় অনলাইনে পড়াশোনার বিষয়বস্তু পাওয়া যায়। কোনও বিষয়কমনোগ্রাহী করে তোলার জন্য ইউটিউবেও দক্ষ শিক্ষকদের ক্লাস রয়েছে। সবই কাজে লাগানো হবে স্মার্ট ক্লাসে।’’